ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১নং বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের লোহাগড় গ্রামের মজুমদার বাড়ির সম্পত্তি দখল নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অপরের মালিকানাধীন দখলকৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক বেদখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে। আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মজুমদার বাড়ির সামনে মজুমদার মার্কেটের বেশ কয়েকটি দোকানে তালা ঝুলানো রয়েছে। প্রতিপক্ষরা মার্কেটসহ জায়গা দখল করার জন্য জোরপূর্বক ভাড়া করা স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীদের নিয়ে সীমানা প্রাচিরের কাজ করছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, লোহাগড় মজুমদার বাড়ির মোখলেছুর রহমান মজুমদার, কালু মজুমদার, বিল্লাল ও মাইনুদ্দিন মজুমদারের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ তার বড় ভাই মৃত আলী আহমেদের ছেলে ইকবাল মজুমদারের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো। আলী আহমেদ মজুমদার মারা যাওয়ার পর তার ছেলে নেশাগ্রস্থ হয়ে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ওয়ারিশ সম্পত্তি বিক্রি করে চাচাদের দখলকৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করে। দখল করতে না পেরে গোপনে লোহাগড় ১৯৯নং মৌজার বিএস ১১৬৩ দাগে ১১ শতক সম্পত্তি সেকান্দর খার ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন খার নিকট বিক্রি করে। পরে মোয়াজ্জেম হোসেন খান সেই সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে সেখানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে এবং ভাড়াটিয়া দোকানে তালা ঝুলায়।
মজুমদার মার্কেটের ভাড়াটিয়া দোকানদার আলী আকবর জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ মোখলেছুর রহমান মজুমদারের কাছ থেকে দোকান ভাড়া নিয়ে মুদি ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো। তাদের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়। কারণ, দোকান ভাড়া মোখলেছুর রহমান মজুমদারকে দেয়ায় তারা এ ঘটনা ঘটায়।
এলাকাবাসীসূত্রে জানা যায়, মজুমদার বাড়ির সম্পত্তি আপোষ বন্টকনামার মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবৎ মোখলেছুর রহমান মজুমদার, কালু মজুমদার, বিল্লাল ও মাইনুদ্দিন মজুমদারের দখলে ছিলো। কিন্তু তাদের ভাতিজা ইকবাল মজুমদার অতিরিক্ত জায়গা বিক্রি করে চাচাদের জায়গাও দখলের চেষ্টা চালায়। পরে এলাকার দালাল চক্রদের সাথে নিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যানকে ভুল তথ্য দিয়ে রায় নিজেদের পক্ষে রায় নেয়। তারা জোরপূর্বক সম্পত্তিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ২১ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৭ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।