চাঁদপুর: গ্রামের চারপাশ ঘিরে নদী। মূল ভূখ- থেকে একসময় বিচ্ছিন্ন ছিল। তবে সভ্যতার ছোঁয়ায় এখন পুরনো সেই রূপ নেই। নদীর ওপর তৈরি হওয়া দুটি সেতু পাল্টে দিয়েছে গোটা গ্রামের জীবনধারা। শুধু তাই নয়, একসময় অশিক্ষা আর নানা কুসংস্কারের কারণে লাঠালাঠিতে ব্যস্ত ছিলেন এই গ্রামের মানুষজনের কেউ কেউ। আজ সেই চিত্রও নেই। এখন শিক্ষা, সংস্কৃতি আর অবকাঠামো উন্নয়নের ধারায় এখানকার মানুষের নিত্য সঙ্গী হয়েছে, তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ। তবে এই তথ্য প্রযুক্তি অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আলোচিত এই গ্রামেই সম্পন্ন হলো অভিভাবক ও তরুণদের নিয়ে বিশেষ আয়োজন।
চাঁদপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ‘সোসাইটি ফর বিউটিফুল চররামপুর’ এমন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন, সরকারের উপসচিব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।
এই গ্রামেরই সন্তান দুদকের উপপরিচালক ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে গ্রামের মানুষদের তথ্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে অন্যদের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা করেন, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ হোসেন, সাংবাদিক ফারুক আহম্মদ, চিকিৎসক জালালউদ্দিন রুমি, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ওয়াহিদুর রহমান রানা, সমাজকর্মী আল আমিন, শিক্ষক গিয়াসউদ্দিন কবিরসহ আরো বেশ কয়েকজন।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) বিকেলে স্থানীয় ঈদগাহ-এ অনুষ্ঠিত এতে প্রধান অতিথি বলেন, প্রথমে নৈতিক শিক্ষায় ঘর থেকে শুরু করতে হবে। পরে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় জীবন গড়তে হবে। এতেই প্রকৃত মানুষ হওয়ার পথ তৈরি হবে। আর তখন মানবিক গুণে বেঁড়ে উঠা শিশু কিশোর এবং যুবকরা এই তথ্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাধ্য হবে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চররামপুর নামে এই গ্রামে এখন শতভাগ মানুষ শিক্ষিত। সরকারি চাকরি থেকে প্রবাসী এবং ব্যবসায়ী আর ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী শিক্ষকও আছেন অনেকেই। যারা সোসাইটি ফর বিউটিফুল চররামপুর গ্রামকে এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করছেন।
চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/