নৌ-পুলিশের এ.এসপি রিপন কুমার মোদকের বিরোধে যত অভিযোগ
প্রথম স্ত্রীর সাথে প্রতারনা করে দ্বিতীয় বিয়ে ॥
নৌ-ফাড়িতে স্ত্রীকে মারধর
বিভাগীয় তদন্তে করে চাঁদপুর থেকে অপসারন
চাঁদপুর নৌ-ফাড়ির এ এসপি (রিভার) রিপন কুমার মদক প্রথম স্ত্রীর সাথে প্রতারনা করে দ্বিতীয় বিয়ে করায় ও স্ত্রীরীর স্বীকৃতি পেতে চাঁদপুর নৌ-ফাড়িতে আসলে স্ত্রী তমা বিশ্বাস কে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রী দাবী করে ও প্রতারনা করে টাকা আর্ত্বস্বাদ করে এবং আহত করার ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে হিন্দু ধর্মাবলম্বী তমা বিশ্বাস। এ ঘটনায় রাতেই নৌ-ফাড়ির এ এসপি রিপন কুমার মোদক চাঁদপুর থেকে অপসারন করেন। পরবর্তিতে জানাযায়, তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ পর্যবেক্ষনের জন্য বিভাগীয় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
অভিযোগের আলোকে জানাযায়, অভিযোগকারিনি তরুনীর নাম তপা বিশ্বাষ। সে গোপালগঞ্জ জেলার ১৩১ নং মাটলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা। গত ২০০৬ সালে রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্ষ্টার্স কোর্স শেষ করে ঢাকায় আসে। এরপর ঢাকায় তার মামাত ভাই সুবর্ণ মন্ডলের সাথে হোমিওপ্যাথি কোর্স করতো রিপন মোদক। সেই সুত্র ধরে ২০০৬ সাল থেকে মামাত ভাইয়ের মাধ্যমে মোবাইলে রিপনের সাথে কথা আদান প্রদান অতঃপর গভির প্রেমের সম্পর্ক হয়। সেই সম্পর্কের রেশ ধরে রিপনের আবেগকে পশ্রয় দিয়ে ২০০৬ সালে ১১ নভেম্বর ঢাকা ঢাকেশ্বরি মন্দিরে গোপনিয়ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সেই সময় রিপন তপাকে জানায় সে তপাকে অনুষ্ঠান করে স্ত্রীর মর্যাদা দিবে। এভাবে চলতে থাকে গোপন স্বামি-স্ত্রীর সম্পর্ক। এরপর ৩০ তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তির্ণ হয়ে রিপন বাংলাদেশ পুলিশের এএসপি পদে টাঙ্গাইলে যোগদান করে। সেখানে রিপনের টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার পাশে কনা ভিলায় ভাড়া বাসায় তপাকে নিয়ে রাত কাটাতো। এরপর রিপন তার বাসায় সহকর্মী আছে বলে তপাকে আর বাসায় আসা যাবেনা বলে আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। এরপর টাঙ্গাঈল থেকে পোষ্টিং হয়ে রিপন বাগেরহাটে চলে যায়। কিন্তু তপাকে বিয়ে করবে বলে নানান তালবাহানা কথা বলতে থাকে। অবশেসে তপা বাগেরহাটে গিয়ে রিপনকে বিয়ের জন্য চাঁপ দেয়। এ বিষয়ে বাগেরহাটের এসপি নিজামুল হকের সাথে বিষয়টি নিয়ে বসা হয় এবং সেখানে তপাকে রিপন ২ মাসের মধ্যে স্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ায় তারিখ নির্ধারন করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত তারিখের পূর্বেই রিপন মোদক চাঁদপুর নৌ পুলিশ ফাড়িতে এএসপি (রিভার) হিসেবে যোগদান করেন। এর পর থেকে তপার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। রিপন চাঁদপুরে চলে আসলে তপা অনেক খোাজার পর অবশেষে ৩ মাস পর জানতে পাওে রিপন চাঁদপুরে পোষ্টিং হয়ে আসে। এর মধ্যে রিপন মোদক পারিবারিকভাবে বিভা নামে একটি মিয়েকে বিয়ে করে। তপা জানতে পারে রিপনের পারিবারিকভাবে বিয়ে করা স্ত্রী বিভার গর্ভে সন্তান রয়েছে। এদিকে তপাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়ায় তপা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরে। রিপন বিভিন্ন ভাবে তপাকে হুমকি দিয়ে আসে বলেও জানাযায়। অবশেষে তপা কোন উপায় অন্তর না পেয়ে গতকাল দুপুর ১ টায় রিপনের সাথে দেখা করা উদ্দেশে চাঁদপুর নৌ পুলিশ ফাড়িতে চলে আসে। এ সময় রিপন তাকে দেখে অটো রিক্সাযোগে পালিয়ে যেতে চেষ্টা চালালে তপা রিপনের হাত ধরে বলে আমাকে বাসায় নিয়ে যাও। রিপন তাকে পাগল বলে মারধর করে পুলিশ কনষ্টেবল দিয়ে তপাকে সরিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ তপাকে থানায় নিয়ে আসে। থানায় এসে তপা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে রিপনকে জড়িয়ে তার জীবনের ইতিবৃত্ত তুলে ধরেন। তপা আরো জানায় রিপন মোদকের বেকার জীবন থেকে শুরু এ পর্যন্ত স্বাবলম্ভি হওয়ার নেপথ্যে তপার প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যায় হয়েছে এবং চেক মারফত টাকা দেওয়া হইছে বলে জানায়। উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তপা জানায় তার ইচ্ছা রিপন মোদক তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলুক। এ ক্ষেত্রে রিপনের পারিবারিক ভাবে বিয়ে করা স্ত্রী ভিবাকে নিয়ে তার কোন সমস্যা হবেনা। সে শুধু চায় স্বীকৃতি। যদি রিপন তা দিতে অস্বৃকিৃতি জানায় তাহলে তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে যে শাাস্তি হওয়া দরকার তার জন্য তপা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেষ্টা চালাবে। এদিকে তপাকে বিভিন্ন মোবাইল নাম্বার থেকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করা হচ্ছে বলেও তপা জানায়।
এ ব্যাপারে এ এসপি রিপন কুমার মোদকের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে ঘটনাটি অস্বীকার করেন। পরে ঘটনার বর্ণনা দিলে পরে তিনি বলেন মেয়েটি প্রতারনা করে এই অপপ্রচার চালায়। এদিকে রিপন কুমার মোদকের সাথে তার প্রথম স্ত্রী গোপাল গঞ্জের স্কুল শিক্ষক তপা বিশ্বাসের ঘটনাটি নৌ-পুলিশের উদ্ধতন কর্মকর্তারা অবগত রয়েছে।