চাঁদপুর প্রতিনিধি :জাতীয় মত্স্য সম্পদ ইলিশ মাছ রক্ষাকল্পে মার্চ-এপ্রিল দু’মাস দেশের পদ্মা-মেঘনা নদীর ৪টি নৌ-সীমানাকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে এবং এ দু’মাস অভয়াশ্রম এলাকায় সকল প্রকার মাছ আহরণ, শিকার, সংরক্ষণ, পরিবহন, মজুদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অভয়াশ্রমের এলাকাগুলো হচ্ছে: চাঁদপুর জেলার ষাটনল হতে লক্ষ্মীপুর জেলার চরআলেকজান্ডার পর্যন্ত একশ’ কিলোমিটার, ভোলা জেলার মদনপুর/ চরইলশা হতে চরপিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার, ভোলা জেলার ভেদুরিয়া হতে পটুয়াখালির চররুস্তম পর্যন্ত একশ’ কিলোমিটারসহ নতুন করে সংযুক্ত হয়েছে শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া-ভেদরগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার ২০ কিলোমিটার নিম্ন পদ্মা নদীর অংশ। ৪টি নৌ-সীমানায় মার্চ-এপ্রিল দু’মাস সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। এছাড়াও পটুয়াখালীর কলাপড়া উপজেলার সমগ্র আন্দারমানিক নদীর ৪০ কিলোমিটার এলাকায় অভয়াশ্রম ঘোষণা করে এই এলাকায় নভেম্বর হতে জানুয়ারি পর্যন্ত সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চাঁদপুর মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মত্স্য বিজ্ঞানীরা জানান, প্রতিবছর জানুয়ারি হতে মে মাস পর্যন্ত জাটকা ধরার মৌসুম হলেও মার্চ এবং এপ্রিল মাসেই সর্বোচ্চ পরিমাণ অর্থাত্ ৬০-৭০% ভাগ জাটকা ধরা পড়ে। তাই মার্চ-এপ্রিল দু’মাস অভয়াশ্রম এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা মত্স্য কর্মকর্তা রতন দত্ত জানান, চাঁদপুর জেলায় চাঁদপুর, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলাসহ হাইমচর উপজেলায় ২৬ হাজার ৩৩৫টি তালিকাভুক্ত জেলে পরিবার রয়েছে। এই পরিবারগুলো অভয়াশ্রম চলাকালীন সময়ে যাতে অর্থ সংকটে কষ্ট না পায় তার জন্য সরকার প্রতি পরিবারকে ৩০ কেজি করে ৪ মাস চালসহ আত্মকর্মসংস্থানমূলক দ্রব্যসামগ্রী বিতরণ করে আসছে। এদিকে অভয়াশ্রম কার্যক্রম সফল করার লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, মত্স্য বিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশসহ জেলা টাস্কফোর্স সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।