মিজানুর রহমান রানা,
প্রতি বছর রমযান এবং রমযানের ঈদ সামনে এলেই চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিভাগের কতিপয় শ্রমিক কর্মচারী বা মিটার রিডারদের যোগসাজসে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল দিয়ে মানুষকে জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করলেন চাঁদপুর শহরের বেশ ক’জন বিদ্যুৎ গ্রাহক। তারা বিদ্যুৎ অফিসে এসে সাংবাদিক পরিচয় জেনে প্রকাশ করলেন তাদের দীর্ঘদিনের মনের ােভ।
গতকাল সোমবার চাঁদপুর নতুনবাজার বিদ্যুৎ অফিসে সরজমিনে গিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে জানা গেছে, চাঁদপুর শহরের বাসা-বাড়ির বিদ্যুৎ বিল নিয়ে তারা বেশ ভোগান্তিতে রয়েছে। এ অভিযোগ বিদ্যুৎ রিডার ও বিলি ম্যানের বিপ।ে কে দূর করবে এ গ্রাহক হয়রানি এমন প্রশ্নে হতাশ গ্রাহকরা।
গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রতি বছর পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারীরা গ্রাহকদের ওপর মরার ওপর খাড়ার ঘা হিসেবে কাজ করে। একদিকে রমজানে যেমন জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতি অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ রমযান এলেই মিটার রিডিংয়ের পরিমাণ বেশি উল্লেখ করে অস্বাভাবিক বিল তৈরি করে গ্রাহকদের দিয়ে থাকে। একজন গ্রাহক জানালেন, তার প্রতি মাসে ৫/৬ শ’ টাকা করে বিদ্যুৎ বিল আসতো। কিন্তু গত মাসের বিল চলতি মাসে বিদ্যুৎ বিভাগ দিয়েছে ২৯৫০ টাকা। তারা অভিযোগ করে আরো জানান, এটি কি অস্বাভাবিক বিল নয়। এবং এর মাধ্যমে গ্রাহকদের হয়রানি করে তাদের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করে থাকেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারীরা। অন্য একজন গ্রাহক ােভের সাথে বলেন, আমি আজ ক’দিন আমার বিলের কাগজ নিয়ে আসি এ অফিসে। কিন্তু কার কাছে গেলে আমার সমস্যার সমাধান করতে পারবো এমন লোকের সন্ধান পাইনি।
গ্রাহকের সমস্যার বিষয় নিয়ে কথা হয় ক’জন বিদ্যুৎ মিটার রিডার ও বিলি ম্যানের সাথে। তারা জানান, আমরা আমাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করি। যারা অভিযোগ নিয়ে এসেছে তাদের সবার তেমন কোনো বড় সমস্যা নয়। দু’একটা ভুল হতে পারে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এ রকম সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ তার কাছে এখনো আসেনি। তবে আসলে তিনি তার নিজ উদ্যোগে বিষয়গুলো দেখবেন বলে জানান।
শিরোনাম:
বুধবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।