বাগেরহাট: মায়ের কোনো তুলনা হয়না। কিন্তু পৃথিবীতে বিপরীত ঘটনাও ঘটছে অহরহ। বুকের নাড়িছেঁড়া ধন ছুড়ে ফেলে পরকীয়ার মতো কলঙ্কময় জীবনে পা বাড়ায় এক মা। তিনিও একজন মা। তবে নিষ্ঠুর মা।
শুক্রবার সকালে বাগেরহাটের চিতলমারীতে এমনি এক নিষ্ঠুর ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী। পশুদের মধ্যেও এমন নজির নেই বলে মন্তব্য অনেকের। ফেলে যাওয়া ওই নবজাতককে থানায় নিয়ে আসা হলে তাকে এক নজর দেখতে উৎসুক লোকজন ভিড় জমায়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শিশুটিকে থানায় নিয়ে আসা লোকজন জানান, উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামের জিন্নাত ফকিরের ছেলে রেয়াজুল ইসলামের সঙ্গে একই গ্রামের জিকু কাউয়ার মেয়ে স্বপ্না আক্তারের প্রায় দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। পরিবারে নতুন অতিথি আসছে তাই সংসারের বাড়তি খরচ মেটাবার জন্য একটু বেশি রোজগারের আশায় কাজের জন্য স্বপ্নার স্বামী রেয়াজুল ঢাকায় যান।
শুক্রবার স্বপ্নার কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান। কিন্তু সন্তান জন্ম দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে নবজাতকটি বাড়ির পাশে ময়লার স্তূপে রেখে স্বপ্না উধাও। নবজাতকের কান্নার শব্দ টের পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে বাচ্চাটিকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে।
এ সময় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও স্বপ্নার কোনো সন্ধান মেলেনি। পরে সকালে শিশুটির দাদি ও প্রতিবেশীরা তাকে থানায় নিয়ে আসেন। এ সময় খবর পেয়ে উৎসুক লোকজন শিশুটিকে এক নজর দেখার জন্য থানার গেটে ভিড় জমায়।
রেয়াজুলের ছোটভাই শফিকুল ইসলাম জানান, তার বড়ভাই বাড়িতে না থাকায় এ সুযোগে ভাবি পরকীয়ার টানে নবজাতককে ফেলে পালিয়েছেন। বর্তমানে শিশুটিকে বাঁচানো দায় হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. রেজাউল করিম জানান, নবজাতককে থানায় নিয়ে আসা হলে তার দাদির দায়িত্বে দেয়া হয়েছে। তার মায়ের সন্ধানে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।