মোঃ আবুল বাসার মজুমদার:
২০০৪ সালে তিনি নেত্রকোনা জেলার উপর প্রামান্য চিত্র নির্মাণ করার জন্য গবেষণার কাজ শুরু করেন। তখন শৈলজারাঞ্জন মজুমদারের একটা ছোট্ট জীবন লিপি পায়। তিনি ১৯০০ সালে নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার বাহাম গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহযোগী ও ইন্দিরাগান্ধীর মাস্টার মশাই ছিলেন। এই সামান্য তথ্য পাওয়ার পর তাহার আরো জানার আগ্রহ বেড়ে যায়। তাহার জন্ম ঐ একই থানা মোহনগঞ্জে। তাই জন্মের তাগিদেই তিনি শৈলজারঞ্জন মজুমদারের উপর তখন গবোষণার কাজ শুরু করেন। ২০০৫ সালে ঢাকায় ওয়াহিদুল হক, নীলোৎপল সাধ্য, ময়মনসিংহের স্নেহাশীষ চৌধুরী ও ড. নূরুল আনোয়ারের সাথে দেখা করে এবং শৈলজারঞ্জন মজুমদার সম্ভন্ধে জানার চেষ্টা করেন। এই চারজনের কাছ থেকে প্রাথমিক তথ্য পায়। এই তথ্যে তাহার মন ভরে নাই। আরো জানার আগ্রহ দিনদিন বেড়েই চলেছে।
২০০৫ সালে নেত্রকোনা জেলার উপর প্রামাণ্য চিত্র ‘নয়ন সারথি’ এর সুটিং ১২ অক্টোবর থেকে শুরু করে। একই সময়ে শৈলজারঞ্জন মজুমদারের জীবনের উপর সুটিং করতে থাকে। কাউকে বুঝতে না দিনে নেত্রকেকোনা জেলার উপর চিত্রের সুটিং করতে থাকেন।
২০০৬ সালে তিনি প্রথম ”বাহাম” গ্রামে সুটিং করে তাহার মনের মধ্যে রবীঠাকুর ও শৈলজারঞ্জনের প্রতিচ্ছবি ভাসতে থাকে। এইভাবে তাহার সটিং এর যাত্রা চলতে থাকে। একদিকে নেত্রকোনার উপর প্রামান্য চিত্র আর অন্যদিকে শৈলজারঞ্জনের উপর প্রামাণ্য চিত্র। একটি প্রামান্য চিত্রের কথা তিনি বলছিলেন কিন্তু আর একটি প্রামান্য চিত্রের কথা কাউকেই বলছিলেন না। শুধুমাত্র নিজের মধ্যে সঞ্চয় করে যাচ্ছিলেন। আর মনে মনে ভাবছেন শৈলজারঞ্জনের উপর প্রামান্য চিত্র করতে পারবে কি? আবার তাহার মন বলছে, পারতেই হবে। এই ভাবেই আস্ত্মে আস্ত্মে নেত্রকোনায় সুটিং করে যাচ্ছিলেন।
২০০৮ সালে প্রথম কোলকাতায় এবং শান্ত্মিনিকেতনে সুটিং করেন। সে এক অন্য রকম অনুভূতি। যা আজও আমাকে শিহরিত করে।
এই ভাবেই ২০০৯,২০১০,২০১১ এবং ২০১২ সালে এসে এই প্রামাণ্য চিত্রের সুটিং বাংলাদেশ ও ভারতে শেষ করেন। অবশেষে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম একান্ত্ম সহচর, রবীন্দ্রসংগীতে স্বরলিপিকার, সংগীতগুরু আচার্য শৈলজারঞ্জন মজুমদারের উপর প্রামান্য চলচিত্র”রবির কিরণে শৈলজারঞ্জন”,। এরই মধ্যে প্রামাণ্য চলচিত্রটি নির্মান করতে ৮ বছর সময় লেগে গেল। তিনি আশা করছেন সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই প্রামাণ্য চলচিত্রটি মুক্তি পাবে। বাংলাদেশ ও ভারতের একটি টিভি চ্যানেলে প্রদর্শিত হবে। মিডিয়া পার্টনার হিসাবে বাংলাদেশ ও ভারতের একটি টিভি চ্যানেল, দৈনিক পত্রিকা ও একটি এফ, এম রেডিও থাকবে। আশা করছি চলচিত্রটি আন্ত্মর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশে প্রদর্শিত হবে। তাই সবার পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা কামনা করছেন। উক্ত প্রামাণ্য চলচিত্রটি চয়নিকার প্রযোজনায় নির্মাণ হচ্ছে।
শিরোনাম:
রবিবার , ১৫ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।