
শাহরিয়ার খান কৌশিক ॥
মতলবে শুক্রবার এসএসসির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহের অভিযোগে মতলব হাইস্কুলের তিন শিক্ষকের দুবছর করে কারাদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্মমান আদালত। রায়পর শুনার পর হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রদীর কুমার সাহা অসুস্থ্যতার ভান ধরে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে এসে ভর্তি হন। গত ২৭ তারিখ থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত মোট ৬ দিন হাসপাতালে পুলিশ পাহাড়ায় তাকে ৩য় তলায় পেইণ বেডে রাখা হয়েছে। কারাদন্ডপ্রাপ্ত প্রদীর কুমার সাহার পরিবার হাসপাতারে ডাক্তারকে ম্যানেজ করে, অসুস্থ্য রয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়ে হাসপাতালে রাখে। সুস্থ্যরোগী অসুস্থ্যতার ভ্যান ধরার কারনে দায়িত্বরত মতলব দক্ষিণ থানার এ এস আই আলমগীর ঘটনাটি জানতে পেরে হাসপাতালের ডাক্তার ও তত্তাবধায়ককে জানায়। কিন্তু তারা বিষয়টি কর্নপাত না করে শিক্ষক অসুস্থ্য রয়েছে বলে জানান। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, প্রদীপ কুমার সুস্থ্য অবস্থায় তার পরিবাবের সাথে কথা বলছে। এসময় সাংবাদিকরা তার ছবি ধারন করতে গেলে তার খালা ছবি তুলতে বাধা প্রধান করে। এবং তার মুখ ঢেকে রাখে। এব্যাপারে হাসপাতালে চিকিৎসক সিরাজুল মনির এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাজা হওয়ার খবর পেয়ে সে অসুস্থ্য হয়ে পরে। শরীর দূর্বোল ও মাথা ব্যাথা জনিত কারনে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়। তবে দুপুরে চার বিশিষ্ট ডাক্তাররের সম্বনয়ে মিটিং করে রিলিজ দেওয়ার বিষয়ে সিধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের তোপে পরে অবশেষে হাসপাতালের ডাক্তাররা প্রদীর সাহাকে রিলিজ করে দেওয়ার পর তাকে জেল কারাগারে হস্তান্তর করে পুলিশ।
উল্লেখ্য মতলবে শুক্রবার এসএসসির ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহের চেষ্টার অভিযোগে মতলবগঞ্জ জেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের তিন শিক্ষককের প্রত্যেককে দু’বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়। শুক্রবার বিকেল ৪টায় উপজেলা পরিষদে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতে তাঁদের এ দন্ড দেন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাজিবুল ইসলাম খান। দন্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা হলেন ঃ মতলবগঞ্জ জেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা বিভাগের আব্দুল আউয়াল, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের জানিবুল হক ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রদীপ চন্দ্র সাহা।
ওই কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, গতকাল পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের একটি কক্ষের দরজা বন্ধ করে পরীক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহের জন্য নৈব্যর্ত্তিক প্রশ্নপত্রের সমাধান তৈরি করার সময় তাঁদের হাতে-নাতে ধরে ফেলেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাজিবুল ইসলাম খান। ঐ সময় তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাঁদের এ শাস্তি দেয়া হয়।
শিরোনাম:
রবিবার , ৯ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।
