শওকত আলী:
চাঁদপুর জেলাধীন মতলব উওর এলাকায় চলন্ত লেগুলা(যাত্রী বহনকারী টেম্পু) থেকে পরে স্কুল যাওয়ার সময় স্কুল ছাত্র জাহিদ হাসান(১৪) এর মৃত্যু হয়েছে। এতে করে জাহিদ হাসানের ৯ম শ্রেনীর বিজ্ঞান পরীক্ষা দেওয়া হলোনা। সে গতকাল শনিবার বিকেল ৫টায় ৮ ঘন্টা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে জরুরী বিভাগে মৃত্যুবরন করেছে। এ মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো: আনোয়ার হোসেন। জাহিদ হাসানের মৃত্যুর পর তার মা”রাজিয়া খাতুন চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবং হঠাৎ হঠাৎ মুর্ছা যেতে থাক্।ে তাকে ছেলে হারার বেদনা থেকে কেহ বুঝিয়ে পারছিল না। সে ছেলের লাশের পাশে বসে শুধু কান্না জড়িত কন্ঠে বিলাপ করতে তেখা যায়। এ সময় ঔ এলাকার বাতাস বাড়ি হয়ে উঠে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। জাহিদ হাসানের নন্ধুরাসহ শত-শত এলাকা বাসী এসে জাহিদের বাড়িতে ভির করে তাকে দেখার জন্য।
জানা যায়,জেলাধীর মতলব উওর আমিরাবাজ বালুর চর লেদুরিয়া বাজার এলাকার প্রবাসী কামাল মুন্সির ছেলে জাহিদ হাসান সকাল ৯টায় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে লেুগুলায় উঠে। পথি মধ্যে সে চলন্ত লেগুলা থেকে পড়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাৎক্ষনিক এলাকাবাসী তাকে উদ্বার করে প্রথমে মতলব উওর হাসপাতালে ও পরে চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। জ্ঞানহীন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন স্কুল ছাত্র জাহিদ হাসান মারা যায়। সে আমিরাবাজ চরকালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্র ছিল। তার পিতা ছেলের লাশ ময়না তদন্ত ছাড়া হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যান। এ ব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।