এসো মিলি মুক্তির মোহনায় এ শ্লে¬াগানকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও চাঁদপুর সরকারি হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১ডিসেম্বর থেকে বিজয় মেলা মঞ্চে জাতীয় সংগীত ও মোম প্রজ্জলনের মাধ্যমে শুভ সূচনা করা হয়েছে। আজ ৩ জানুয়ারী শনিবার মাসব্যাপি মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা মঞ্চে লাকী কুপন ড্র শেষে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে পর্দা ওঠবে মেলার।
চাঁদপুরে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় আসা দোকানী ও এখানকার বেশ ক’টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের অনুরোধে ৩দিন মেলার সময় সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছিলো। আজ ৩জানুয়ারি শনিবার রাতে কুপন ড্র-এর মাধ্যমে বিজয় মেলার কর্মকান্ড শেষ হবে এ বছর ২৩তম বিজয় মেলার কর্মকান্ড ১ ডিসেম্বর সোমবার শুরু হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় বিজয় মেলা মঞ্চে মোম প্রদীপ প্রজ্জ্বলন কওে মেলার সূচনা করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন ও পুলিশ সুপার মো. আমির জাফর এবং ৮ডিসেম্বর সোমবার চাঁদপুর হানাদারমুক্ত দিবসে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও চাঁদপুর-৩ আসনের সাংসদ ডা. দীপু মনি।
এ বছর বিজয় মেলার শুরু থেকে মেলা মাঠে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। বিজয় মেলা মঞ্চে সাংস্কৃতিক কর্মকন্ড ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ প্রাণ ভওে উপভোগ করে। পুরো মাসের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে মুক্তিযুদ্ধারা এবং প্রধান মন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা আসায় দর্শনার্থীরা প্রান ভওে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস প্রাণ ভরে শ্রবণ করে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ স্টলটিতে প্রতিদিন দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিলো উল্লেখ করার মতো। পুরো মাঠ জুড়ে ছিলো বাণিজ্যিক স্টল। এ বছর বিজয় মেলা মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে বেশ ক’টি সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে প্রদর্শনী বিতর্ক।’ যা এ প্রজন্মের তরুণ সমাজকে কিছুটা হলেও জাগ্রত করেছে।
পথচারী বা মেলায় আসা দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার বাইরে অর্থাৎ মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মোড় থেকে শুরু করে শহীদ মিনার এলাকার ভ্রাম্যমাণ দোকানীদের বসতে দেওয়া হয়নি।
গতকাল ২জানুয়ারী শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে শপথ ব্যান্ডের পরিবেশনায় মিঠু, মামুন, হৃদয় ব্যান্ড সংগীত পরিবেশন করে। পরে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মঞ্চে সাংস্কৃতিক পরিষদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এতে সংগীত পরিবেশন করে, ফয়সাল রশীদ শাওন, এম এইচ বাতেন, রাজিব চৌধুরী, এএম আজিজ, মামুন, পলিন। নৃত্য পরিবেশন করেন, উদয়ন সংগীত বিদ্যালয়ের কান্তি দাস মিম, রাফিকা, জয়শ্রী। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, সাংস্কৃতিক পরিষদের সদস্য সচিব শরীফ চৌধুরী।
শিরোনাম:
রবিবার , ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।