ডাঃ এস.জামান পলাশ
সিস্ট হল পানিভর্তি ছোট থলি। একাধিক সিস্টকে একত্রে পলিসিস্ট বলা হয়। ওভারি বা ডিম্বাশয় ফিমেল রিপ্রোডাক্টিভ অঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম। ছোট ছোট সিস্ট (১০-১২টি) পুঁতির মালার মতো ওভারি বা ডিম্বাশয়কে ঘিরে রাখে। এই সিস্টের জন্য ওভারির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। পলিসিস্টিকের সমস্যা হল- শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমা। ঠোঁটের নিচে, গালে বা চিবুকে এবং বুকে, পেটে, পিঠে পুরুষালি লোম গজায়, ওভারি থেকে মাত্রাতিরিক্ত পুরুষ হরমোন অ্যান্ড্রোজেন নিঃসরণ বেড়ে যায় বলে এ সমস্যা দেখা যায়। পিরিয়ডে অস্বাভাবিকতা দেখা যায়, শুরুতে দুই-তিন মাস পরপর পিরিয়ড হয়। হরমোনের স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে তারতম্য বেশি হলে বছরে দুই-তিনবার বা তারও কম পিরিয়ড হয়। কারও অতিরিক্ত ব্লিডিং হয়। অনিয়মিত পিরিয়ডের জন্য বিবাহিতদের সন্তান ধারণে সমস্যা হয়। ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্বের অন্যতম কারণ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম। এজন্য অনেক মেয়ের মিসক্যারেজ হয়। এর উপসর্গ অনেক সময় সাইক্লিক অর্ডারে চলে। প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে ওজন বাড়ে। শরীরের এই বাড়তি ওজন হরমোনের যথাযথ নিঃসরণে বাধা সৃষ্টি করে বলে আরও সিস্ট তৈরি হয়। ডিম্বাশয়ের কাজকে বাধাগ্রস্ত করে। যে কোনো বয়সের মহিলারই মেনার্কি থেকে মেনোপজ পর্যন্ত পলিসিস্টিক ওভারি হতে পারে। একই পরিবারের মেয়েদের মধ্যে অনেকের এ সমস্যা হয় বলে জেনেটিক ফ্যাক্টরকে কারণ হিসেবে ধরা যায়। আধুনিক সচেতন মেয়েরা রোগের প্রাথমিক অবস্থাতেই ডাক্তারের কাছে আসছেন।
চিকিৎসা : একজন ভালো হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিন অবশ্যই রোগ মুক্তি পাবেন
=============================
ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
01711-943435
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog
ফেসবুক–https://www.facebook.com/ZamanHomeoHall