মতলব উত্তর :
মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচআনি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২টি দিঘি ইজারা দেওয়ার জন্য দরপত্র আহবানকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে ইজারাদারদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বিদ্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করা হয়। পরে ইজারাদারদের একপক্ষ অপরপক্ষের চৌরাস্তা বাজারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাই ভাই টেলিকমে হামলা করে লুটপাট ও ভাংচুর করে। ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সংঘর্ষের পর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ টেন্ডার কার্যক্রম স্থগিত করেছে।
প্রত্ক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচআনি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২টি দিঘি মাছ চাষের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়। শনিবার ছিল উন্মুক্ত দরপত্রের দিন। ৭জন ইজারাদার টেন্ডারে অংশগ্রহন করে। এদের মধ্যে উত্তর পাঁচানীর তানভীর আহমেদ ১লাখ ৭১হাজার টাকা, মান্দারতলী গ্রামের মমিনুল ইসলাম ৬লাখ টাকা, পাঁচআনি গ্রামের আলী আকবর ১লাখ ৭২ হাজার টাকা ও কলাকান্দা গ্রামের মোঃ রাসেল ৬লাখ ১হাজার টাকা মূল্য বলে। এর প্রেক্ষিতে তানভীর আহমেদের সাথে মোঃ রাসেল ও আলী আকবরদের বাকবিতন্ড বাঁধে। একপর্যায়ে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। সংঘর্ষে কয়েকজন মৃদু আঘাত পায়। বিদ্যালয়ের কয়েকটি চেয়ার-টিবিল ভাংচুর হয়। বিক্ষোব্ধরা আলী আকবরদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চৌরাস্তা বাজারে ভাই ভাই টেলিকমে মান্দারতলী গ্রামের মমিনুল ইসলামের লোকজন হামলা করে। দোকানে থাকা কম্পিউটার ও ক্যাশ বাক্স ভাংচুর করে। দোকানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। ফৈলাকান্দি গ্রামের শাহজাহান খন্দকারের ছেলে হৃদয় খন্দকারকে আটক করা হয়। ঘটনার পর মতলব উত্তর থানা পুলিশকে খবর দিলে এসআই মনির হোসেন ও মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
ঘটনা জানতে পেরে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক চৌধুরী বাবুল পাঁচআনি উচ্চ বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সংঘটিত ঘটনা স্থানীয় পর্যায়ে মিমাংসা করার আশ্বাস দিলে পুলিশ আটককৃত হৃদয় খন্দকারকে ছেড়ে দেয়।
পাঁচআনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান জানান, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে দরপত্রের লোকজন উপস্থিত হয়। খোলা দরপত্র আহবান করলে ইজারাদারদের মধ্যে বাকবিতন্ড বাঁধে। এক পর্যায়ে মারামারি পর্যন্ত হয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবের হস্তক্ষেপে স্থাণীয় পর্যায়ে মিমাংসার আশ্বাস দিলে উভয় পক্ষ মেনে নেয়। তবে টেন্ডার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী সময় খোলা ডাক না দিয়ে বদ্ধখামে টেন্ডার আহবান করা হবে।