চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের আজ শেষ দিন। প্রার্থীরা আজ জেলা রিটার্নিং অফিসার অথবা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। এ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হচ্ছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ নূরুল্লাহ নূরী ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার হচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলার পাঁচ উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ আরো ক�টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে। এছাড়া স্বতন্ত্র কেউ কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নির্বাচনে আইন অনুযায়ী দলীয় মনোনয়ন দেয়ার বিধান না থাকলেও দলের প্রচ্ছন্ন সমর্থন থাকে। এ লক্ষ্যে চাঁদপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একক প্রার্থী দেয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সফল হলেও বিএনপি এখনো পুরোপুরি সফল হতে পারে নি। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পাঁচ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে।
চূড়ান্ত প্রার্থীর ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল জানান, দলের তৃণমূল নেতাদের মতামতের আলোকে পাঁচ উপজেলায় আমাদের চেয়ারম্যান প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও প্রায় উপজেলায় চূড়ান্ত একক প্রার্থী নির্ধারণ হয়ে গেছে। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একক চূড়ান্ত প্রার্থীরা হচ্ছেন ঃ চাঁদপুর সদরে বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ইউছুফ গাজী, ফরিদগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার, হাইমচরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন পাটওয়ারী, মতলব উত্তরে জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর আহমেদ মঞ্জু ও মতলব দক্ষিণে অধ্যাপক সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার।
এদিকে বিএনপির শুধু মতলব দক্ষিণে ছাড়া অন্য চার উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এককভাবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি। মতলব দক্ষিণ উপজেলায় দলের তৃণমূল পর্যায়ে থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এমএ শুক্কুর পাটোয়ারীকে চেয়ারম্যান পদে সমর্থন দেয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য চার উপজেলায় দলের একক প্রার্থীর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি দলটি। চাঁদপুর সদরের ব্যাপারে জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা গতকাল রাত পর্যন্ত দীর্ঘ মিটিং করেছেন। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেন নি। জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসেন মাঝি জানান, আমরা শুধু চাঁদপুর সদরের ব্যাপারে বসেছি। তৃণমূলের নেতারা জেলা বিএনপির উপর সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিয়েছেন। তবে আমরা এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারিনি।