শাহারিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুর আঞ্চলিক পার্সপোট অফিসের এক দালালের বিরুদ্ধে পার্সপোট করতে এসে শারমিন আক্তার (২০) এক যুবতী ধষন মামলা দায়ের করার পর পুলিশ মহিলা সহ ৩জনকে আটক করেছে। বৃস্পতিবার বিকেলে চাঁদপুর মডেল থানার এস.আই নুরুল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওয়ালেছ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে দালাল ফারুক হোসেন (৪০) তার স্ত্রী রুবি আক্তার মনি (৪০) ও তার মাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ চান্দ্রার মোতালেব ক্বারীর মেয়ে শারমিন চাঁদপুর কোর্টের এসআই আজমীরি বেগমের বাসায় কাজ করতো। বিদেশ যাওয়ার জন্য সে চাঁদপুর আঞ্চলিক পার্সপোট অফিসে তার ফুফুকে সথে নিয়ে দালাল ফারুক হোসেনে সরনাপন্ন হয়। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করে নিজেরাই পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট করবে বলে ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় দালাল ফারুক হোসেন যুবতী শারমিন আক্তারকে দ্রুত পাসপোর্ট আনার জন্য বার্মা থেকে এসেছে একথা শিখিয়ে দিয়ে পাসপোর্ট কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য বলে। দালালের কথা মতো যুুবতী সে কথা বলার পর পাসপোর্ট কর্মকর্তার (এডি) সহকারী পরিচালক বিপুল কুমার গোস্বামীর সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে মডেল থানার এ.এস.আই বিপ্লব সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পাসপোর্ট অফিস থেকে শারমিন আক্তারকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। চাঁদপুর মডেল থানা থেকে তার পুণাঙ্গ ঠিকানা নেওয়ার জন্য ফরিদগঞ্জ থানায় বার্তা পাঠানো হয়। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ যাচাই বাচাই করে তার প্রকৃত ঠিকানা চান্দ্রা নিশ্চিত হয়ে পুলিশকে অবগত করে। পরে রাতেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যুবতীর শারমিন কে পুলিশ ছেড়ে দেওয়ার পর স্ইে দালাল ফারুক হোসেন তাকে পার্সপোট করিয়ে দেওয়ার নাম করে তাকে তার বাসায় নিয়ে যায়। রাতে যুবতী শারমিনকে অজ্ঞাত এক জায়গায় নিয়ে ধর্ষন করে ছেড়ে দেয়। পরে দালাল ফারুক হোসেনের বাসায় আসলে তার স্ত্রী রুবি আক্তার মনি ও তার মা তাকে তারিয়ে দেয়। সেই ঘটনায় শারমিনের ফুফু বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি ধর্ষন মামলা দয়ে করে। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ ওয়ারলেছ এলাকা থেকে ৩জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।