ফাহিম শাহরিন কৌশিক খান
চাঁদপুর শহরের পালপাড়ায় স্ত্রীর অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করেছে মডেল থানা পুলিশ। অবশেষে পৌর কাউন্সিলর ডিএম শাহজাহানের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ করে সমঝোতা হয়।
জানা যায়, পালপাড়া আনোয়ার মঞ্জিলে মৃত আবু বকর কাজীর ছেলে রুম্মন কাজী তার ফুফাত ভাই মমিনের স্ত্রী সালমা জাহান রানী (২৪)এর সাথে পরকিয়া সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে করে। পুরাণবাজার দোকানঘর এলাকার জলিল ডাক্তারের বাড়ির প্রবাসি মমিনের স্ত্রী রানী পরকিয়ার টানে বিবাহিত রুম্মন কাজীকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেয়। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর মমিনের স্ত্রী রানী রুমানের বিবাহিতা ১ম স্ত্রী পুতুলকে তালাক দেওয়ার জন্য বাধ্য করে। ওই দিনই রুমান ১০ লাখ টাকা কাবিন করে ছলনাময়ী রানীকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে রানী অন্য ছেলের সাথে মোবাইলে কথা বলার ঘটনা নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। গত ৪ দিন পূর্বে সালমা জাহান রানী রুমানের ঘরের এলসিডি টিভি, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ব্যাপক ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পৌর কাউন্সিলর ডিএম শাহজাহান পালপাড়া আনোয়ারা মঞ্জিলে গিয়ে রানীকে ফুসলিয়ে থানায় মামলা করার জন্য বলে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডিএম শাহজাহান রানীকে নিয়ে রুমানকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করে। গতকাল শুক্রবার সকালে মডেল থানার উপপরিদর্শক মানিক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পালপাড়া থেকে রুমানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সন্ধ্যায় ডিএম শাহজাহানের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ করে কাবিনের ৮ লক্ষ টাকার চেক ও স্ট্যাম্পে লিখিত নিয়ে অবশেষে রুমনকে মুক্তি দেয়। রুমন জানায়, তার আপন ফুফাত ভাইয়ের বউ রানী মোবাইলে ফোন করে তাকে পটিয়ে প্রেমের জালে আবদ্ধ করে। জোর পূর্বক তার ১ম স্ত্রীকে তালাক দিতে বাধ্য করে। রানী বিয়ের পর থেকেই অন্য ছেলেদের সাথে ফোনে কথা বলার কারণে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়েছে। সুযোগ সন্ধানী পৌর কাউন্সিলর ডিএম শাহজাহান রানীর সাথে পরিচয় হয়ে বাসায় আসা যাওয়া করতো। এ নিয়ে পৌর কাউন্সিলর ডিএম শাহজাহানকে বারন করায় সে উত্তেজিত হয়ে রানীকে ফুসলিয়ে এভাবে মামলা দায়ের করে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করে।