স্টাফ রিপোর্টার
২০১০ সালের ২১ জানুয়ারি চাঁদপুর সদর উপজেলার ধনপর্দ্দি গ্রামের মৃত সুরুজ হাজারার ছেলে সৌদি প্রবাসী ফারুক হাজরার সাথে চাঁদপুর শহরের পশ্চিম শ্রীরামদীর জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে মুক্তা আক্তারের ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর ফারুক পুনরায় প্রবাসে চলে যায়। এ সুযোগে মুক্তা আক্তার তার পরকীয়া প্রেমিক জনির হাত ধরে স্বামীর বাড়ি থেকে ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ ২ লাখ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ফারুকের মা মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে মামল দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে মামলা তুলে নেয়ার জন্যে বাদী ও তার পরিবারবর্গকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। মরিয়ম বেগম জানান, আমার ছেলের বউ তার পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে চাঁদপুর শহরের রহমতপুর কলোনীর ভাড়া বাসায় গিয়ে উঠে। সেখানে তার সাথে বসবাস করে।
জানা য়ায়, গত রমজান মাসে শহরের রহমতপুর কলোনীর এক বাসা থেকে মডেল থানা পুলিশ মুক্তা আক্তারসহ ৩ নারী ও ৪ যুবককে আটক করে। ঐ দিন রাতেই স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরের মাধ্যমে তাদেরকে ছাড়িয়ে নেয়া হয়। উল্লেখ্য, আটককৃত ৩ নারীর মধ্যে মুক্তা আক্তার হচ্ছে ধনপর্দ্দি গ্রামের ফারুক হাজরার পালিয়ে যাওয়া স্ত্রী।