দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক ড. নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কমবেশি দুর্নীতি হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন দেশে আলোকিত মানুষ সৃষ্টি করতে চায়, যাতে আগামী প্রজন্মের জন্যে আমরা দুর্নীতিমুক্ত দেশ রেখে যেতে পারি। তিনি বলেন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন জনগণের অর্থে পরিচালিত। তাই সরকারি কর্মচারীদের জনসেবায় এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের সংবিধানের ৭ ধারায় জনগণকে অধিকার দেয়া হয়েছে। জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। দুর্নীতির কারণে জনগণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। দুর্নীতির কারণেই আমাদের দেশে দারিদ্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত ২৩টি জেলায় দুর্নীতি সম্পর্কে গণশুনানি কর্মশালা হয়েছে। এ কর্মশালা সব জেলায়ই অনুষ্ঠিত হবে। পাসপোর্ট, ভূমি অফিস ও পুলিশ বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয় বলে গণশুনানিতে জনগণ মত প্রকাশ করেছে। সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি সম্পর্কে সচেতন করার জন্যই এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। স্কুল-কলেজে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক ‘সততা সংঘ’ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলে যুব সমাজকে দুর্নীতি সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে।
গতকাল ২৫ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলম।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক ড. নাছির উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক আবদুল আজিজ ভঁূইয়া। এ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির পরিচালক মনিরুজ্জামান ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক আবদুল আজিজ ভঁূইয়া। আরও বক্তব্য রাখেন মোঃ আবুল কালাম আজাদ, উপ-পরিচালক, কুমিল্লা দুর্নীতি দমন কমিশন। এ কর্মশালায় অংশ নেন কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার এডিসি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, শিক্ষা অফিসার, জেলা রেজিস্ট্রার, টিআইবি কর্মকর্তা, আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা প্রমুখ।
চাঁদপুর জেলা থেকে অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল হাই, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডাঃ রথীন্দ্রনাথ মজুমদার, চাঁদপুর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হায়দার ভঁূইয়া। এছাড়া কর্মশালায় ৬টি জেলা থেকে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা অংশ নেন। কর্মশালা শেষে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রধান অতিথি সনদপত্র বিতরণ করেন।