পিকেটারদের অতর্কিত হামলা ও ধাওয়া খেয়ে পৃথক পৃথকভাবে সিএনজি স্কুটার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে ৮ জন। আহতরা হলেন রহমান গাজী (৫৫), রহিমা বেগম (৪২), সেন্টু গাজী (৩০) এবং সিএনজি স্কুটার চালক মোখলেছুর রহমান মিজি (৪২), কামরুল ইসলাম রাজু (২০), মোঃ রনি (২০), শরীফ গাজী (২০), সিএনজি স্কুটার চালক আমিন খান (১৮)। এ দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ঘোষেরহাট মিয়ার বাজার এলাকায় ও ইচলী চৌরাস্তা সম্মুখস্থ নিজ গাছতলা এলাকায়। আহত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে হাজীগঞ্জ থেকে চাঁদপুরগামী একটি সিএনজি স্কুটার আসছিলো। স্কুটারটি ঘোষেরহাট এলাকার মিয়ার বাজারের কাছাকাছি আসলে হঠাৎ একদল পিকেটার গাড়িটিকে ধাওয়া করে। জীবনের মায়া নিয়ে স্কুটার চালক মোখলেছুর রহমান মিজি গাড়ি দ্রুত চালিয়ে পালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। তখন গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খালে ছিটকে পড়ে যায়। গাড়িতে থাকা যাত্রীসহ ৪ জন গুরুতরভাবে আহত হন। একইভাবে রাত সাড়ে ৮টায় সিএনজি স্কুটার চালক চাঁদপুর থেকে গাড়িতে গ্যাস ভরে যাত্রী নিয়ে ফরিদগঞ্জে যাওয়ার পথে গাছতলা এলাকায় আসলে হঠাৎ পিকেটারদের হামলার শিকার হন তারা। পিকেটাররা চলন্ত গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারলে গাড়ির সামনের গ্লাস ভেঙ্গে চালক আমিন খানের মাথায় পড়লে সে জ্ঞান হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়ে। এ সময় গাড়িতে থাকা ৪ জন যাত্রীর মধ্যে ৩ জন ও চালকসহ মোট ৪ জন গুরুতর আহত হয়। দুর্ঘটনা ঘটার পরপরই প্রত্যক্ষদর্শীরা আহতদের সেখান থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গতকাল ৩ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগের দু� কর্মীকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে আহত করার পর থেকেই পুরো শহর ছিলো থমথমে। সে ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শহরের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনে নাশকতা। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিকেটাররা সিএনজি স্কুটারে এ দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।