শাহারিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহ মোহাম্মপুর ইউনিয়নের ঘোষেরহাটে আবারো অবরোধকারীরা চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে প্রাবাসীর গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপসহ ব্যাপক গাড়ী ভাংচুর ও পিকেটারের হামলায় নিহত অলোক হত্যা মামলার মূল হোতা ঘোষেরহাটের মনিরসহ ২জনকে আটক করেছে মডেল থানা পুলিশ।আজ রোববার মডেল থানার এস.আই ফিরোজ আলম, এ.এস.আই নন্দন সরকার ও ডিবির উপ-পরিদর্শক মামুন সরকারসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সকালে ঘোষেরহাট মহামায়ায় অভিযান চালিয়ে মনির পাটওয়ারী (২৮) ও মিল্লাত (২৭) কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
জানা যায়, ২০দলীয় জোটের ডাকা হরতাল অবরোধ চলাকালীন সময়ে চাঁদপুরের ক্রাইম পয়েন্ট হিসেবে ঘোষেরহাটকে চিহ্নিত করে শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মনির পাটওয়ারীর নেতৃত্বে অবরোধকারীর ব্যাপক তান্ডব চালায়। এ পর্যন্ত তারা শত শত গাড়ী ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও যাত্রীদের কাছ থেকে মালামাল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায়। সম্প্রতি শাহরাস্তির ঔষধ অলোক সিএনজি যোগে চাঁদপুর যাওয়ার পথে ঘোষেরহাটে অবরোধকারীরা হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে। পরে তাকে ঢাকা নেয়ার পথে মতলব মারা যায়।
সেই ঘটনার এজহারভুক্ত আসামী আলু মোড়া গ্রামের বারেক মাষ্টারের ছেলে মনির পাটওয়ারীসহ শতাধিক ব্যাক্তিকে আসামী করে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
এছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যায় পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় জাফর বাড়ির নামক স্থানে চাঁদপুর কুমিল্লা মহাসড়কে বিএনপি ও জামাত শিবিরের কর্মীরা গাড়ি ভাংচুর করে। এসময় মহামায়ার আওয়ামীলীগ নেতারা রাস্তা দিয়ে আসার সময় হামলাকারীদের ধাওয়া করে ঘটনার সাথে জড়িত কৃষ্ণপুর গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর হোসেন ঢালীর ছেলে রিয়াদ হোসেন ঢালী (১৭) কে আটক করে। পরে মডেল থানার এ.এস.আই নোমান সিদ্দিকী খবর পেয়ে তাকে আটক করে চাঁদপুর মডেল থানায় নিয়ে আসে। আটকৃত রিয়াদ ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে। সে জানায়, ঘটনার দিন রাতে আলু মোড়া গ্রামের বারেক মাষ্টারের ছেলে মনির পাটওযারী নেতিত্বে মোজাম্মেলের শরীফ (২৫) ও জুলফু হুজির ছেলে নাছির হুজি সহ ১০-১২ জন পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় জাফর বাড়ির সামনে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে। মনির প্রতিদিন রাতে এলাকার যুবকদের টাকার লোভ দেখিয়ে এ ঘটনা ঘটায়। এছাড়া তারা বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে ভাংচুর চালিয়ে ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা সহ বিভিন্ন মালামাল ছিনতাই করে। এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় এ.এস.আই নোমান সিদ্দীকি বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৪৩ তারিখ ২৪-০১-১৫। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুরের ক্রাইমপয়েন্ট হিসেবে ঘোষেরহাটকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ এলাকায় নাশকতাকারীদের গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন করা হবে। মামলায় এজাহার ভূক্ত আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলা হওয়ার পর অবশেষে পুলিশ মূল হোতা ২জনকে গতকাল রবিবার আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত মনির পাটওয়ারী মহামায়া বাজারে রেন্ট-এ-কার ব্যবসায়ী। এছাড়া সে বিভিন্ন মাদকসহ অপরাধমূলক কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।