মো. শিমুল হাছান.
ফরিদগঞ্জে পিতা ও সৎ মায়ের নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়ে শিশু জিহাদ হোসেন (১২) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।অভিযোগের ভিত্তিতে জানাযায়, ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিন চর বড়ালি মিজি বাড়ির শিশু জিহাদের পিতা আব্বাছ মিজির সাথে পৌর এলাকার কাছিয়াড়া গ্রামের জমাদার বাড়ির ইসমাইল জমাদারের মেয়ে রুনা আক্তারকে ২০০২ সালে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক বিবাহ হয়। পরবর্তিতে পারিবারিক কলহের জের ধরে গত ৩ বছর পূর্বে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আব্বাছ ও রুনার সংসারে দুটি পূত্র সন্তান জন্মগ্রহন করে, প্রথম সন্তান (সিয়াম হোসেন-১৫) ও দ্বিতীয় সন্তান (জিহাদ হোসেন -১২) । অতপর আব্বাছ পুনরায় বিবাহ করে ঘর সংসার শুরু করে। সিয়াম ফরিদগঞ্জ এতিম খানায় পড়া শুনা করে। গত ২০-০৮-১৯ তারিখে তার পিতা এতিম খানায় গিয়া সিয়ামকে পাশে ডেকে নিয়ে বেদড়ক মারধর করেছে বলে তার নানী অভিযোগ করেছে।
এদিকে জিহাদকে তার বাড়ির বসত ঘরে পিতা ও সৎ মা অবরুদ্ধ করে রেখে বেদড়ক মারধর করে শরীরের বিভিন্নস্থানে ক্ষতবিক্ষত করেছে বলে জিহাদ সাংবাদিকদের জানান ।এব্যাপারে জিহাদের বাবা আব্বাছ জানায়, আমার ছেলে গত দেড় মাস আগে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।এবিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিব জানান, শিশু জিহাদের নানী রহিমা বেগম অভিযোগ দিয়েছে, অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে।