মিজান লিটন ==
চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার এলাকায় অবৈধভাবে মোটর সাইকেল ভাড়া ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। ভাড়ায় পাওয়া এ সকল মোটর সাইকেলের শিক্ষানবিশ চালকদের বেপরোয়া চলাচলে পথচারীগণ আতঙ্কিত। তাদের বেপরোয়া চলাচলের কারণে স্কুলগামী ছেলে-মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকগণ।
জানা যায়, পুরাণবাজার পুরাণ ফায়ার সার্ভিস এলাকার মঙ্গল, সুজন ও সৈয়দ নামে তিন ব্যক্তি পৃথক পৃথকভাবে মোটর সাইকেল ভাড়া দেয়া শুরু করে। এ সকল মোটর সাইকেলের প্রায় গুলিরই বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা সন্দেহ। তরুণ উঠতি বয়সী যুবকরা ঘণ্টায় ৩০০ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে এ স্থান থেকে মোটর সাইকেল নিয়ে ফাঁকা জায়গা দেখে তা শিখতে চেষ্টা করে। একটু শিখতে পারলেই তা নিয়ে তারা রাস্তায় উঠে পড়ে। আর বর্তমান সময় পৌর মেয়রের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পুরাণবাজার হরিসভা এলাকার রাস্তা সংস্কার ও চওড়া হওয়ায় এ সকল শিক্ষানবিশ চালক এ রাস্তাকেই চলাচলের নিরাপদ রাস্তা হিসেবে বেছে নেয়। তারা মুক্ত হাওয়ায় ডানা মেলে স্বপ্নের রাজ্যে চলতে গিয়ে গাড়ির ব্যালেন্স হারিয়ে প্রায় সময় দুর্ঘটনায় পতিত হয়। এর কারণে ঘনবসতি এলাকা সম্পন্ন এ সকল এলাকার মানুষ থাকে ভীত সন্ত্রস্ত। শিক্ষানবিশ এ সকল চালকের হাত থেকে নিরাপত্তা পাওয়ার জন্য এ এলাকার মানুষ অত্র এলাকার নির্বাচিত কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র ছিদ্দিকুর রহমান ঢালীকে অনুরোধ জানিয়ে আসছেন রাস্তার কয়েকটি স্থানে ব্রেকার (বাম্পার) স্থাপন করে দেয়ার জন্য। কিন্তু তা এখনো করা হয়নি। তাদের এ বেপরোয়া চলাচল জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। অত্র এলাকার মানুষ এখন মোটর সাইকেলের আওয়াজ শুনলেই চমকে উঠেন। অনেকেরই প্রশ্ন, এভাবে মোটর সাইকেল ভাড়া দেয়ার বৈধতা কতোটুকু রয়েছে। আর যারা শিখছে তাদের মোটর সাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে ট্রাফিক জ্ঞান কতোটুকু আছে। অথচ দিনের পর দিন ভাড়ায় চালিত শিক্ষানবিশ এ সকল চালকের বেপরোয়া চলাচলে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরাও রয়েছে নির্বিকার। তারা যদি এ সকল শিক্ষানবিশ চালকদের ও যারা ভাড়া প্রদান করছেন তাদের প্রতি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তাহলে পথচারীগণ অনেকটা নিরাপত্তা পেতো।
শহরের রাস্তাঘাট ভালো থাকায় বেপরোয়াভাবে মোটর সাইকেল চলাচল বৃদ্ধি পেয়েই চলছে। তারা কেউই মানছে না ট্রাফিক আইন। মাথায় থাকছে না হেলমেট। কোনো আইনী নিয়মকানুন না মেনেই তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে দিয়েই বীরদর্পে চলছে। শহরে চলাচলরত অনেক মোটর সাইকেলরই কাগজপত্র নেই। চালকদের নেই কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স। তারপরও এদের বিরুদ্ধে নেয়া যাচ্ছে না কোনো আইনী ব্যবস্থা। অথচ মোটরযান আইনে নিয়ম রয়েছে গাড়ি ও গাড়ির চালকদের লাইসেন্স থাকতে হবে। লাইসেন্সবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল সম্পূর্ণ বে-আইনী। কিন্তু কে মানছে কার কথা। এ মানা না মানা দেখার দায়িত্ব কার?