প্রতিনিধি
চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার দাস পাড়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোর পূর্বক বসতঘর নির্মাণ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মহাদেব চন্দ্র দাস জানায়, চন্দন দাসের নিকট থেকে সি এস ১০৪৯ আর এস ৪৫৩২ দাগে ৩ শতক সম্পত্তি তিনি ক্রয় করেন। ঐ দাগে সে তার মা লাবন্য বালা দাসের ৭ শতকসহ মোট ১০ শতক সম্পত্তির মালিক। একই বাড়ির গণেশ দাস জোরপূর্বক মহাদেব দাসের সম্পত্তি ভোগদখল করতে চায়। এ নিয়ে কয়েকবার সালিস বৈঠক হয়। ঐ সম্পত্তি পৌরসভার সার্ভেয়ার গিয়ে মাপ জরিপ করে মহাদেব দাসকে বুঝিয়ে দেয়। এ সম্পত্তি নিয়ে মামলা হলে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে গণেশ দাস বেআইনীভাবে সম্পত্তিতে প্রবেশ করে। গত ১৫ এপ্রিল গণেশ দাস মহাদেব দাসের সম্পত্তিতে বেআইনীভাবে প্রবেশ করতে গেলে সে পুরাণবাজার ফাঁড়ির আইসি আবু সাঈদ চাঁদপুর মডেল থানার এ এস আই নাজমুল ও এস আই বিপ্লবকে এবং চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে জানায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গণেশ দাসকে নিষেধ করে সম্পত্তিতে প্রবেশ না করার জন্যে। তারপরও গণেশ দাস প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ওই দিন গভীর রাতে ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে মহাদেব দাসের সম্পত্তিতে ঘর উত্তোলন করে। ঘর উত্তোলন না করার জন্য তাকে নিষেধ করলে উল্টো সে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। এ সময় তাদের হামলায় সঞ্জিত দাস (৩০) গৌতম দাস (৪০) আহত হয় এবং মহাদেব দাসদেও ২টি বসতঘরে ভাংচুর করে। ঘরে থাকা ১ ভরি ও ২ জনের ১টি স্বর্ণের চেইন ও ৮ আনা ও ২ জনের ১ জোড়া কানের দুল নিয়ে যায়। এতে প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। আহত দু�জনকে উদ্ধার করে চাঁদপুর আড়াইশ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে সঞ্জিত দাসের অবস্থার অবনতি দেখে ডাক্তার তাকে ঢাকায় রেফার করে। এ ঘটনায় গণেশ দাস, দিলীপ দান, সঞ্জিত দাস, রঞ্জিত দাস, নিখিল দাস, জন্টু দাস, ক্ষুদীরামদাসকে আসামী করে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা করা হয়। মহাদেব ঘোষ আরো জানায়, গণেশ দাস তার মেয়েদেরকে আশা যাওয়ার পথে খারাপ কথা বলে উত্ত্যক্ত করে এবং তাদেরকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে মহাদেব দাস প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।