শাহরিয়ার খান কৌশিক ঃ
চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় হামলার শিকার হয়ে উল্টো মামলার আসামি
হলেন পুরাণবাজার ছৈায়াল বাড়ির কয়েকটি পরিবার। গ্রেফতার আংক ও মামলার দায় মাথায় নিয়ে এখন ঘরছাড়া ঐ বাড়ির পুরুষ সদস্যরা। গত ২৯ মার্চ পৌর নির্বাচনে জাল ভোট দেয়া ও এজেন্টকে মারধরের অভিযোগে পৌর ৩নং ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত কাউন্সিলর লতিফ গাজি ও পরাজিত প্রার্থী সহিদুল ইসলাম মুক্কুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্সর সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় ছৈয়াল বাড়িসহ আশপাশের প্রায় ১০ থেকে ১৫টি বসতঘর ভাংচুর করে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। এছাড়াও আহত হয় প্রায় ১০ থেকে ১২জন। ভাংচুর করা হয় সেনাবাাহিনীর ওয়াঃ অফিসার (অবঃ) মো. অহিদুল ইসলাম বিল্লাল, পৌরসভার কর্মকর্তা মাহমুদ শফিক ও ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সহিদুল ইসলাম মুক্কু ছৈয়ালের বসত ঘর। গতকাল ৩০ মার্চ বুধবার হারুন গাজি বাদি হয়ে ১১জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১০/১৫জনের রিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৪০, তারিখ ৩০/ ০৩/ ২০১৫ইং। অভিযুক্ত পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী সহিদুল ইসলাম মুক্কু জনান, মামলার এজহারে লেখা নির্বাচনের দিন লতিফ গাজির ভাগিনা বৌ ফারজানাকে আমার এজেন্ট না হওয়ায় আমার সমর্থকরা তাকে মারধর করেছে। যেহুতো ফারজানা আমার প্রতি পক্ষ প্রার্থীর ভাগিনা বৌ সেহুতো তাকে আমার এজেন্ট করার কোনে যুক্তি নেই। আর এতেই প্রমানিত হয় মামলাটি মিথ্যা এবং বানোয়াট ও ভিক্তিহীন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, আমি পরাজিত প্রার্থী আথচ নির্বাচনের দিন ও পরের দিন দুই দফায় আমাদের উপর হামলা চালনো হয়েছে। এছাড়াও আমাদের বসত ঘরসহ প্রতিবেশি প্রায় ১০ থেকে ১৫টি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। অথচ আমাদের বিরুদ্ধেই আবার তারা মামলা করেছে। আমি প্রশাসনের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করছি।