চাঁদপুর জেলা শহরের প্রধান ব্যবসায়িক এলাকা পুরাণবাজার ট্রলারঘাটে একটি সিঁড়ির জন্যে দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না চরাঞ্চলের ট্রলারযাত্রীদের। পুরাণবাজার ট্রলারঘাটে পাকা সিঁড়ি বা ঘাটলা না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গদিঘর লেবার ও ট্রলার যাত্রীরা। শিশু, নারী ও অসুস্থ ব্যক্তিরা চরের ট্রলারে ওঠা-নামা করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। প্রতিদিন শতাধিক যাত্রী পরিবহনের ট্রলার পুরাণবাজারে আসা-যাওয়া করলেও ট্রলারঘাটে নেই বিশুদ্ধ পানি ও শৌচাগারের ব্যবস্থা।
মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থল চাঁদপুর নদীবন্দরে প্রবেশে পুরাণবাজারের পশ্চিমবাজার মদিনা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ ট্রলারঘাটটি অবস্থিত। নদী ভাঙ্গনের কারণে ব্যবসায়িক এ এলাকাটি সংরক্ষণে পানি উন্নয়ন বোর্ড শহর রক্ষা প্রকল্পের অধীনে এখানে বাঁধ নির্মাণ করে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের পণ্য এবং লঞ্চ, ট্রলার বা খেয়া যাত্রীদের জন্য এখানে ঘাটলা বা সিঁড়ির অবকাঠামো আজ পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়নি। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে পণ্য নিতে আসা মোকামি ব্যবসায়ী এবং ট্রলার ও খেয়া যাত্রীদের এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
বৃদ্ধ ও শিশুদের সিঁড়ি ও ঘাটবিহীন ট্রলারে তোলা হয়। তখন যাত্রীরা হন আতঙ্কিত, ঘটে দুর্ঘটনা। ঘাটের দোকানীরা জানান, এমন কোনোদিন নেই দু-একজন যাত্রী আহত না হয়। তারা নিচের দিকে নামতে গিয়ে বস্নকের উপর পা পিছলে দুর্ঘটনার শিকার হন।
কেবল খেয়া বা ট্রলার যাত্রীরাই নয় বিভিন্ন গদিঘরের শত শত লেবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌযানে পণ্য ওঠা-নামার কাজ করছেন। পাকা সিঁড়ি না থাকায় যাত্রীরা এবং বাজারের লেবাররা কষ্ট করেই ট্রলার ও কার্গোতে ওঠেন।
ভুক্তভোগী যাত্রী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লেবাররা বারবার অভিযোগ করলেও মিলছে না সমাধান। বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাদের। নৌপথে শান্তির যাত্রা প্রত্যাশা করে অগণিত যাত্রী। অথচ পাকাঘাট ও সিঁড়ি নির্মাণে উদাসীন কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসন, পৌর মেয়র ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।