চাঁদপুরে সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শহর ও শহরতলী বিভিন্ন স্থানে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময় অবৈধভাবে রাইজার বা রাইজার মেশিন ছাড়া গ্যাস সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। চাঁদপুর ও হাজীগঞ্জ উপজেলা বেশ কয়েকজন ঠিকাদার তাদের দালালদের মাধ্যমে সাধারন গ্রাহকদের কাছ থেকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। শহর ও শহরতলী বাইরে রাতের আধাঁরে মাটি খুরে ঐ ঠিকাদাররা তরিগরি করে বিদ্যুতের সংযোগ লাগিয়ে ওয়াল্লিং মেশিন দিয়ে গ্যাস পাইব জালাই করে গ্যাস সংযোগ দিচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা ঘটছে চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকায়। তেমনি শুক্রবার সকাল ১১ টায় দিনে দুপুরে পুরানবাজার ঘোস পাড়ার সম্ভু সাহার বাড়ির পিছনে বহরিয়া বাজারের শিল বাড়ির তপন শিলের ক্রয় কৃত জায়গায় চাঁদপুর গ্যাস অফিসের কর্তৃপক্ষের উপস্থিতি ছাড়া গ্যাস সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানা যায়, ঘোস পাড়ার সম্ভু সাহার বাড়ির পিছনে তপনের খালি জায়গায় চাঁদপুর গ্যাস অফিসের বিনা অনুমতিতে ও তাদের উপস্থিতি না রেখে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়। সেখানে কেনো ধরনের স্থাপনা নেই তবুও গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এ সময় সচেতন এলাকাবাসী চাঁদপুর মডেল থানাকে অবহিত করে। তাৎক্ষনিক মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পূর্বে গ্যাস কন্টেকটর গুয়াখোলার খোকন ও জায়গার মালিক তপন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। মাটি কাটার দুই জন শ্রমিক ও গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার কাজে থাকা কয়েকজন শ্রমিক রাস্তা খুড়ে গর্ত করে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার পর পুলিশের খবর শুনে তারা তরিগরি করে তারাও পালিয়ে যায়।
মডেল থানা পুলিশ কন্টেক্টরকে না পেয়ে সেখানে দায়িত্বে থাকা তাফু ও খালেকের নিকট প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দেখতে চাইলে, প্রথমে সে পুলিশ কে ফাকি দিয়ে পালাবার চেষ্টা করে। তবে পুলিশকে সংযোগের অনুমতি ও ব্যাংকে গ্যাসের ডিমান্ড নোটের জমা কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি। পরে মডেল থানার পুলিশকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শাসক দলীয় ছাত্র নেতার সাথে কথা বলার জন্য মোবাইল সেটটি পুলিশের কাছে দেওয়া হয়। ঐ নেতার কথা বলে পুলিশ অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন না করে, ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে বাধ্য হন।
খবর নিয়ে জানা গেছে, ঠিকাদার খোকন রাইজার মেশিন না এনে সুপারভাইজার ছাড়া তার শ্রমিদের মাধ্যমে ঘোসপাড়ায় সম্ভু সাহার বাড়ির রাস্তার অন্যের গ্যাসের চিকন পাইপ থেকে সংযোগ নিয়েছে। এসময় জায়গার মালিকের পক্ষে তাফু ও খালেক শেখ ঘটনাস্থলে পাহাড়াদার হিসেবে থেকে অন্যের গ্যাসের পাইপ থেকে জোড় করে সংযোগ নিয়েছে। চাঁদপুর বাখরাবাদ গ্যাস অফিসের নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এক কর্মকর্তা জানান, যে কোন গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সময় গ্যাস অফিসের সুপার ভাইজার ও গ্যাস অফিসের সরঞ্জাম রাইজার মেশিনসহ গাড়ি উপস্থিত থেকে কাজ করতে হবে। কিন্তু গ্যাসের ঠিকাদাররা অফিসকে না জানিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সুপার ভাইজার ও গ্যাস অফিসের সরঞ্জাম রাইজার মেশিন ছাড়াই দিনে ও রাতের আধারে গ্যাস সংযোগ লাগাছে। তেমনি কত কয়েকদিন পূর্বে পুরানবাজারে লোহারপুল, ঘোস পাড়ায়, শহরের কালিবাড়ি ও শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে রাতে বেশ কয়েকটি গ্যাস সংযোগ অবৈধভাবে দেওয়া হয়েছে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাদের ধাওয়া করলে ঠিকাদার ও শ্রমিকরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে চাঁদপুর গ্যাস অফিসের ম্যানেজারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার জন্যে চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
শিরোনাম:
সোমবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।