শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥
চাঁদপুর শহরের পুরানবাজারে সরকারী খাস সম্পত্তি গোপনে অন্যের কাছে প্রায় কয়েক লক্ষাধীক টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারী নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অবৈধ পন্থায় পুরানবাজার ১নং ওয়ার্ড তামাক পট্রি এলাকায় ২৫ বছরের পুরনো জনতা মিষ্টান্ন ভান্ডারের ভাড়াটিয়াকে সরিয়ে দেওয়ার পায়তারা চালিয়ে রাতের আধারে কামরুল নামে এক ব্যক্তির কাছে কয়েক লক্ষাধীক টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ ওঠেছে।৯১ নং মিউনিসিপ্যালিটি মৌজার পুরানবাজারস্থ ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত ৯৬১০ দাগের ৫৮/৫৯ ভাড়াটিয়া হোল্ডিং খাস সম্পত্তি নতুন করে লীজ নেওয়ার জন্য ২০১৫ সালের আগষ্টের ২৮ তারীখে মেরকাটিজ রোডের মৃত মনু খানের ছেলে আব্দুল মজিদ খান ডেঙ্গু চাঁদপুর সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করেন। আবেদনের ৫ মাস পর পূর্বের লীজার পুরানবাজারের নূর মোহাম্মদের ছেলে গিয়াস উদ্দিন কয়েক লক্ষাধীক টাকার বিনিময়ে কুদ্দুছ বেপারীর ছেলে কামরুলের কাছে বিক্রি করেন। গত ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের ৮ তারীখে কামরুল ইসলাম গিয়াস উদ্দিনের নাম পরিবর্তন করে নিজের নামে নেওয়ার জন্য আবেদন করে। একই জায়গায় ২ জন লীজের আবেদন করায় চাঁদপুর সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) চৌধুরী আশ্রাফুল করিমের নির্দেশে ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারী পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করে। আব্দুল মজিদ খান ডেঙ্গু ভাড়াটিয়া হোল্ডিং এ নামজারিক্রমে নাম পরিবর্তনের প্রার্থনা করায় ভূমি কর্মকর্তা চৌধুরী আশ্রাফুল করীম উভয় পক্ষকে স্ব শরীরে আগামী ২২ শে মার্চ ভূমি অফিসে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করে। এ সংবাদ পাওয়ার খবর পেয়ে কামরুল ইসলাম পেশী শক্তির বলে ভূমি অফিসের নোটিশ তোয়াক্বা না করে ভাড়াটিয়া দোকান জনতা মিষ্টান্ন ভান্ডারের নাম ফলকের উপরে কামরুল মিষ্টান্ন ভান্ডারের নাম সাটিয়ে দেয়। গতকাল রবিবার সরেজমিনে গিয়ে সরকারী খাসকৃত ভূমিতে জনতা মিষ্টান্ন ভান্ডারে গিয়ে দেখা যায়, কামরুল ইসলাম গায়ের জোরে ভূমি অফিসের চোখে ধূলো দিয়ে নিজের দখল বোঝাতে ২৫ বছরের পুরনো ভাড়াটিয়ার দোকানের নাম বদলে নিজের নাম সাটিয়ে দিয়েছে।
এ ব্যপারে ভাড়াটিয়া দোকানদার জনতা মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক যুবরাজ সাহার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পূর্বের লীজার গিয়াস উদ্দিনের কাছ থেকে ২৫ বছর পূর্বে ভাড়া নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে আসছি। মালিক গিয়াস উদ্দিন কামরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে এ জায়গা বিক্রি করে দিয়েছে বলে শোনা গেছে। কামরুল হঠাৎ করে নিজেকে মালিক দাবী করে দোকানে এসে জনতা মিষ্টান্ন ভান্ডারের নামের উপরে কামরুল মিষ্টান্ন ভান্ডারের সাটিয়ে দিয়েছে।
এ ব্যপারে আব্দুল মজিদ খান ডেঙ্গু বলেন, আমি সবার আগে লীজ পেতে ভূমি অফিস বরাবর আবেদন করেছি। আবেদনের ৫ মাস পরে জনৈক কামরুল নামজারির জন্য আবেদন করেন। সরকারী যদি লীজ দেয় তাহলে আবেদন অনুযায়ী আমি পাপ্য।
ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, খাস সম্পত্তি বিক্রি করার কোন বিধান নেই। শুধুমাত্র ভূমি অফিস অন্যকে আবেদনের প্রেক্ষিতে নতুন করে লীজ দিতে পারবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, গিয়াস উদ্দিনের সাথে কামরুলের আত্বিয় কিংবা ব্যবসায়িক কোন সম্পর্ক নেই। গিয়াস উদ্দিন মোটা অংকের টাকার লোভে দালালদের মাধমে সরকারী নিয়মনীতি তোয়াক্বা না করে রাতের আধারে কামরুলের কাছে জায়গা বিক্রি করে দিয়েছে। যা সম্পূর্ন অবৈধ ও নিয়মবহিবূর্ত। খাস সম্পত্তি বিক্রি করার নিয়ম নেই
।