শাহরিয়ার কৌশিক ॥
চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার দাসপাড়া এলাকায় ৫ মাসের অঅÍসত্ত্বা কিশোরীর কে সর্বনাশকারী লম্পটের সন্ধান মেলেছে। লম্পটকে বাচাতে এলাকার দালালচক্ররা ঘটনা ধামাপাচা দিতে তোরজোড় শুরু করেছে। ঘটনা জানাজানি হলে কিশোরী এলাকা থেকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদপুর ছেরে চলে যেতে বলার পর দীর্ঘদিন সে ঢাকায় অবস্থান করেন। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ১৫ দিন চিকিৎসাধীন থাাকার পর অবশেষে চাঁদপুরে এসে কিশোরী মূল ঘটনা ফাঁস করে দিয়েছে। অনুসন্ধান করে জানা যায়, পুরানবাজার দাসপাড়ায় নূরীয়া স্কুল সংলগ্ন মজিব খানের দ্বিতীয় মেয়ে ৫ মাসের অন্তসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তার পরিবার বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রথমে দাসপাড়া সূর্যের হাসির ক্লিনিকে তাকে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার দেখে দ্রুত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার জন্য বলে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরীর মা ও বোন তাকে নিয়ে প্রথমে সদর হাসপাতালে যায়। পরে সেখান থেকে গাইনী বিভাগের ডাক্তার প্রফেসর পাড়ার সীমা আহসানের কাছে নিয়ে যায়। তাকে দেখার পর মেডিকেল খরচ বাবদ ১৫ হাজার টাকা দাবি করে বলে জানাযায়। সেখান থেকে তাকে নিয়ে মা ও বোন মর্জিনা আক্তার পৌরসভার সাামনে আসার পর অন্তসত্বা কিশোরী পিছন থেকে উধাও হয়ে যায়।।তারপর থেকে অন্তসত্বা কিশোরীকে পাওয়া যায়নি বলে পরিবারের স্বজনরা দাবি করেন। এই ঘটনা এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর এলাকার মানুষ অন্তসত্বা কিশোরীকে তার পরিবারের লোকজন লুকিয়ে রেখেছে বলে জানিয়ে মজিব খান ও তার ভাই ইসমাইল খানের বসত ঘরে তালা মেরে তাদেরকে বেড় করে দেয়। দীর্ঘ এক মাস পাঁচ দিন পর অন্তসত্বা কিশোরী ঢাকা থেকে চাঁদপুরে এসে তার সর্বনাশ কারীর নাম প্রকাশ করে। এসময় কিশোরী জানায়, তার চাচাতো ভাই কালু খান তার সাথে জোর করে রাতের আধারে ঘরে ঢুকে ধর্ষন করে। তাকে বিয়ে করার কথা বলে দীর্ঘদিন অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। কালু খান ঘটনা জানাাজানি হওয়ার পর চাঁদপুরে নাা এসে ঢাকা থেকে হুমকী দেয়। এছাড়া তার স্ত্রী ঘটনা জানতে পেরে জোরপূর্বক ঘরে তালা মেরে দেয়। এই ঘটনায় বর্তমানে পুরানবাজারে টপ অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। অন্তসত্বা কিশোরী সর্বনাশকারী কালু খান কে বাচানোর জন্য এলাকার দালাল চক্ররা উঠেপড়ে লেগেছে এবং তার নাম প্রকাশ করায় হুমকী দিতে শুরু করেছে।

