শাহারিয়ার খান কৌশিক ॥ চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার হরিসভা মন্দির সংলগ্ন মেঘনা নদীর পারে আ´সিৎ ভাঙ্গনে ৫টি বসতঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ায় ভাঙ্গণ রোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ করা অব্যাহত রয়েছে। গভীর রাতে আকস্মিক ভাঙ্গণে ৫টি বসতঘর ভেঙে যাওয়ায় শতাধিক পরিবার ভাঙ্গণ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুরের জেলা প্রসাশক আঃ সবুর মন্ডলের নির্দেশে নির্বাহী ম্যজেষ্ট্রেট উপস্থিত থেকে ভাঙ্গণ এলাকায় বালু জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রফিক উল্লাহ তত্বাবধানে সাবষ্ট্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার আশ্রাফুর জাম্মান ভাঙ্গন এলাকায় সার্বক্ষিনিক খোজ খবর নিয়ে ভাঙ্গণ রোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ করাচ্ছে। স্থানীয় ঠিকাদারদের মাধ্যমে এই কাজ করানো হচ্ছে। গতকাল দুপুরে ভাঙ্গন এলাকা পরির্দশনে জান, মোঃ রফিকুল্লাহ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সৈকত হোসেন পানি উন্নয়নের সাবষ্ট্যান ইঞ্জিনিয়ার কে.এম তোফায়েল ফখরুল আমিন সিদ্দিক, মাহাবুবুল করিম। খোজ খবর নিয়ে জানা যায়, সোমবার রাত ২ টায় হরিসভা মন্দিরের গেইট সংলগ্ন মেঘনা নদীর পারে শহর রক্ষা বাধের ১০০ মিটার সিসি বক্ল ধসে গিয়ে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এসময় মাধব বোজের ছেলে দিপক দে, যাদব দে, সঞ্চয় বণিকের ছেলে মতি বণিক, অপু বণিকের ছেলে নারায়ণ বণিকের বসতঘর নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এছাড়া ভাঙ্গণ আতঙ্কে মৃত হরি মল দের ছেলে বিমল দের বসতঘর থেকে আসাবাবপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভাঙ্গণ আতঙ্কে হরিসভা রোডে মেঘনা নদীর পাড়স্থ শতাধিক পরিবার মানবেতন দিন কাটাচ্ছে। পানি উন্নয়নের বোর্ডের কর্মকর্তারা জানায়, ভাঙ্গণ রোধ করতে ৩০ হাজার বালু বোঝায় জিও ব্যাগ ও ৭ থেকে ৮ হাজার ব্লক ভাঙান স্থানে ফেলানো হবে। ঢাকা থেকে ডিজাইন আসলে শহর রক্ষা বাধের ভাঙ্গণ স্থানে দ্রুত জিও ব্যাগ ও ব্লক ফেলে ভাঙ্গণ রোধ করা সম্ভব হবে। গত তিন দিনে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বালু বোঝাই জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে। এদিকে ছোট জিও ব্যাগে ১২৬ কেজি বালু ও বড় জিও ব্যাগে আড়ইশ কেজি বালু ভরাট করে নদীতে ফালানোর কথা থাকলেও অসাধু ঠিকাদারা বালু কম বোঝাই করে নদী ডাম্পিং করছে। নির্বাহী ম্যাজেষ্ট্রেটের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভাঙ্গণ স্থানে ষ্টীলবর্ডি ট্রলারে মধ্যখানে বস্তা রেখে কম বালু ঢুকিয়ে এই প্রতারণা করে নদী বস্তা ফেলানো হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছে। সঠিকভাবে ভাঙ্গণ রোধে সরকারি অনুদান ব্যবহার না হলে শহর রক্ষাবাধ টিকানো সম্ভব হবে না।