শাহরিয়ার খাঁন কৌশিক ॥
চাঁদপুর পুরানবাজারে স্বনামধন্য মৌসুমী রাইস মিলের এ ওয়ান ব্যান্ডের বস্তা নকল করে পুরানবাজারে চাল পট্রি রাজলক্ষী ভান্ডার সস্তা চাল উর্দ্ধদামে বিক্রির ঘটনায় ব্যবসায়ি মহলে ব্যাপক তোলপারের সৃষ্টি হয়েছে। চোরে চুরি সিনাজুরির মতো মালিক সম্ভু নাথ সাহা ঘটনাকে অন্য দিকে প্রবাহিত করতে ব্যবসায়ি মহলে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। সাংবাদিকরা পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ করায় প্রকাশ্যে সাংবাদিকদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শোনা গেছে। দীর্ঘদিন যাবত অন্যের নামকরা ব্যান্ডের সীল মহর ও মনোগ্রাম ব্যবহার করে লোকাল মিল থেকে চাল ক্রাসিং করে সে চাল বস্তায় ঢুকিয়ে বেশি দামে বিক্রি করে আসছে।
জেলা মার্কেটিং বিভাগ,জেলা প্রশাসন ও চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে গ্রাহকদের সাথে প্রতারনা করে চাল বিক্রি করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরানবাজারের মনজিল রাইস মিলে ধান ভাঙ্গীয়ে এ ওয়ান ব্যান্ডের বস্তার ভিতরে সস্তা চাল ঢুকিয়ে সেগুলো চাঁদপুর, রায়পুর,লক্ষীপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে। এদিকে শম্ভুনাথ সাহা বাজারের কিছু প্রভাবশালীদের সাথে নিয়ে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুরানবাজরে রাতের অন্ধকারে গোডাউনের দরজা বন্ধ করে বিভিন্ন ব্যান্ডের বস্তা নকল করে তার ভাঙ্গানো সস্তা চাল সেগুলোতে ঢুকিয়ে অবৈধ পন্থায় মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে হাজার হাজার বস্তা পাইকারী চাল বিক্রি করে আসছে।
গতবৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে রাজলক্ষী ভান্ডারে গিয়ে দেখা যায়, মৌসুমী রাইস মিলের এ ওয়ান ব্যান্ডের বস্তা নকল করে চাল ঢুকিয়ে সারিবদ্ধভাবে মজুদ রেখেছে। এসময় সাংবাদিকরা নকল ব্যান্ডের ছবি তুলতে গেলে মালিক সম্ভুনাথ সাহা বাধা প্রদান করে। এছারা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। সাংবাদিকরা তার কথায় কর্নপাত না করে সংবাদ প্রকাশ করায় সে ক্ষুব্ধ হয়ে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এদিকে দীর্ঘদিন যাবত সম্ভুনাথ সাহা প্রশাসন তার কথায় ওঠে বসে এ বুলি সবাইকে বলে অবৈধভাবে ব্যবসা করে আসছে। অল্পকদিনে হঠাৎ করে কোটিপতি বনে গেছে সে। চাঁদপুর শহরের বেশ কিছু জায়গায় তার নামে বেনামে জায়গা রয়েছে তার।
এ ব্যপারে জেলা মার্কেটিং অফিসার নিয়াজ মোঃ রেজাউল করীম জানান, চাঁদপুরে এসেই সম্ভুনাথের ব্যপারে জেলা প্রশাসক ও এডিএম এর সাথে আলোচনা করে তাদের নির্দেশনা মতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে বস্তা পট্রির বেশ কিছু ব্যবসায়ি জানায়, হরিসভার বাসিন্দা বাসুদেব সাহার ছেলে সম্ভুনাথ সাহা প্রতারনা করে অপরের ব্যান্ডের বস্তায় ব্যবহার করে গ্রাহকদের সাথে প্রতারনা করে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। রাস্তার পাশে ছোট ব্যবসায়ী থেকে এখন পুরানবাজারে চাল পট্রির বড় মার্চ্চেন্ট ব্যবসায়ী হিসেবে অবস্থান করে নিয়েছে। অবৈধ ভাবে ব্যবসা করে সে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে। সম্প্রতি শহরের গাঙ্গুলী পাড়ায় ৬ শতাংশ জমির উপর ৬ তলা ভবন নিমার্ন করছেন। এছারা শহরের বিভিন্ন যায়গায় নামে বেনামে বহু সম্পদ কিনেছেন তিনি। তার বেশকিছু ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে। তাছাড়া পুরানবাজারের অবৈধভাবে রোজগারকৃত টাকা হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাচার করে সেখানে বহু সম্পদ গড়ে তুলেছে। সম্ভুনাথের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। কারন সম্ভুনাথের মতো ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন না করা হলে অন্য ব্যবসায়ীরা অবৈধ ব্যবসা পরিচালনায় উৎসাহী হয়ে ওঠবে।