চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলায়েত হোসেন বিল্লালের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে বহন করা ২টি মোটর সাইকেল ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করাসহ আওয়ামী লীগের ১০ নেতা-কর্মীদের আহত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পূর্বে পুরাণবাজার পূর্ব জাফরাবাদ সামু গাজী বাড়ির সামনের রাস্তায় ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় শাহআলম খান (৫৫) ও আনোয়ার হোসেন (২৫)কে চাঁদপুর সদর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। খবর পেয়ে ঘটনার ১ ঘণ্টা পর চাঁদপুর মডেল থানার এসআই কিবরিয়া ও পুরাণবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু সাঈদ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হামলার শিকার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলায়েত হোসেন বিল্লালসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্ধার করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেলে ধারাবাহিক গণসংযোগের অংশ হিসেবে বিল্লাল গাজী, তার সমর্থকদের নিয়ে পুরাণবাজারে অবস্থান করেন। নূরীয়া স্কুল, দাসপাড়া, নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে জাফরাবাদ মাদ্রাসায় পেছনের এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গেলে দাসপাড়া এলাকার চিহ্নিত ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বেলায়েত হোসেন বিল্লালের নির্বাচনী গণসংযোগ বহরে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। হামলাকারীদের হাত থেকে তিনিসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আত্মরক্ষায় এলাকার বাড়ি বাড়ি ঢুকে প্রাণের ভয়ে আশ্রয় নেন। হামলায় মোটর সাইকেল সামনে পেয়ে সেগুলোর উপর হামলা চালায় এবং নেতা-কর্মীদের লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করতে থাকে। হামলার শিকার প্রার্থী বিল্লাল, আওয়ামী লীগ নেতা বাদল মিজি ও জেলা যুবলীগ নেতা হারুন হাওলাদার জানান, তাদের উপর ওচমান হাজীর সন্ত্রাসী বাহিনী, তাজু হাজী ও মুনাফ দিদারের ছেলে কিশোর এবং ফরিদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে চাঁদপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন ও শহরের বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা-কর্মী।