মতলব দক্ষিণ: ডিঙ্গাভাঙ্গা গ্রামে পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার আসায় পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে নিজ জমির উপর না খেয়ে অনশন করছে। ২৫ এপ্রিল সকাল ৮টা থেকে মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৫নং উপাদী উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ ডিঙ্গাভাঙ্গা চৌধুরী বাড়ি উত্তর পার্শ্বে। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অনশনকারী নুরুল ইসলাম ও তার বোন আছমতিন নেছা জানান, ডিঙ্গাভাঙ্গা ৬৬৯ নং খতিয়ান, ডিপি- ৯১৪, জেএলনং- ২৩১, সাবেক- ১০৮৭, হাল- ২৩০৩ দাগে নাল মোট ৩৮ শতাংশ ভূমি আমরা পৈত্রিক সূত্রে মালিক। ওই সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার আশায় আমরা পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে আমরণ অনশন পালন করছি। সম্পত্তি ফিরে পাওয়া না পর্যন্ত আমাদের অনশন অব্যাহত থাকবে। একটি কুচক্রি ও স্বার্থান্বেষী মহল মৃত ছবর উদ্দিন হাজীর ছেলে মো. লিয়াকত আলী, তার ছেলে আল-আমিন, আনোয়ার গংরা আমাদের সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে চাষাবাদ করছে। ওই ভূমি দস্যুরা আমাদের সম্পত্তিসহ এলাকার অনেক সম্পত্তি অবৈধভাবে ভোগ দখল করে আসছে। তাদের সাথে প্রতিবাদ করলে তারা আমাদেরকে জীবনে মারিয়া ফেলার হুমকি দেয়। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার চেয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না।
এদিকে তাদের অনশনের খবর পুরো উপাদী ডিঙ্গাভাঙ্গা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজনের মাঝে এক চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নাজিম উদ্দিন আলম, এ সংবাদ পেয়ে মুঠোফোনে তাদেরকে অনশন ভাঙ্গার জন্য অনুরোধ জানান এবং ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।
এলাকার কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার রাজা মিয়া জানান, এ ধরনের ঘটনা আমাদের এলাকায় এই প্রথম। তবে দলিল মূলে জমির মূল মালিক নুরুল ইসলাম গংরা। আমি যতটুকু জানি ওই সম্পত্তিটি এওয়াজ বদল হয়েছে ওই সূত্রেই তারা সম্পত্তি দখল ও চাষাবাদ করে আসছে।
এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি কানন চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেনসহ বেশ কয়েকজন জানান, এলাকায় এ বিষয়ে বেশ কয়েকবার শালিশ হয়েছে। ওই সালিশে সুষ্ঠু সমাধান না পেয়ে তারা অনশন করছে। তবে প্রকৃত জমির মালিক নুরুল ইসলাম গংরা।
বিবাদী লিয়াকত হোসেনের সাথে এ জমি সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ওই সম্পত্তিটি এওয়াজ বদল সূত্রে মালিক। নুরুল ইসলাম আমার চাচাত ভাই।
নুরুল ইসলাম গং আরো জানান, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার আশায় চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করেছি। তবে বিবাদীরা আমাদেরকে অনশন ভাঙ্গার জন্য আমাদের পরিবারের সদস্যদেরকে হুমকি ধমকি দিচ্ছে।