কবির হোসেন মিজি
প্রগতি ইসলামী এম.সি.এস লিমিটেডের ক’জন মাঠ কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎসহ প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোম্পানীতে জমাকৃত সেই টাকার জন্য প্রতিদিন হয়রানির শিকার হচ্ছে ভুক্তভোগী শ’ শ’ গ্রাহক। প্রগতি ইসলামী এম.সি.এস লিমিটেডের মাঠ কর্মীরা হলেন ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামের জমাদার বাড়ির ছাত্তার জমাদারের মেয়ে আকলিমা বেগম আকু (২০) এবং তার মাতা নুরজাহান বেগম (৪০)। তারা দু’জনই বীমা কোম্পানীতে মাঠ কর্মী হিসেবে কাজ করেন। গ্রামের শ’ শ’ মানুষের কাছে বীমার অধিক টাকার লোভ দেখিয়ে ডিপিএসসহ বিভিন্ন মেয়াদী টাকা জমার বই করিয়ে এখন তারা গ্রাহকদের সেই জমাকৃত টাকা ফেরত দিচ্ছে না। তাদের প্রতারণার শিকার একই গ্রামের ভুক্তভোগী রোজিনা বেগম ও তার স্বামী মিন্টু জমাদার জানায়, মদনা গ্রামের জমাদার বাড়ির আকলিমা বেগম ও নূরজাহান বেগম আমাদের অনেকভাবে ভুলিয়ে ভালিয়ে প্রগতি ইসলামী এম.সি.এস লিমিটেডে বই করার কথা বলে এবং ১ লাখ টাকা বইতে জমা রাখলে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা লভ্যাংশ পাওয়ার কথা বলেও প্রতিশ্রুতি দেয়। তাদের কথা মতো আমরা ওই কোম্পানীতে ডিপিএস টাকাও জমা দেই। এর মধ্যে ২০১২ সালের ২৬ আগস্ট দু’ টি রিসিটে ১ লাখ টাকা জমা দেই। যার রিসিট নং ১২৬৬/১২৬৫ এবং ১৯/৪/২০১২ তারিখে জমা দেই দেড় লাখ টাকা। যার রিসিট নং ৯০৬। কিন্তু দেখা গেছে আমরা সেই টাকা জমা দেয়ার পর কোনো লভ্যাংশ তো দূরের কথা, আসল টাকা দেয়ারও খবর নেই। আমরা সেই টাকা চাইতে গেলে তারা দেই দিচ্ছি বলে আমাদের ঘুরাতে থাকে। আমরা ছাড়াও গ্রামের আরো অন্যান্য গ্রাহক তাদের কাছে টাকা চাইলে তাদেরকেও একই কথা বলে ঘুরিয়ে থাকেন। গত ক’দিন আগেও আমরা আমাদের জমাকৃত মোট আড়াই লাখ টাকা চাইতে গেলে তারা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং আমাদের হুমকি ধমকি দিয়ে থানায় গিয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। সেদিনও আকলিমা বেগম আকু আমাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করে যার নং ৩৯৫/ তাং ৭/৬/২০১৪ খ্রিঃ।
মদনা গ্রামের বীমা কোম্পানীর প্রতারকরা রোজিনা ও মিন্টু জমাদারের মতো গ্রামের আরো শ’ শ’ সহজ সরল নিরীহ মানুষজনকে মিথ্যে লোভ দেখিয়ে টাকা পয়সা আদায় করে এখন আর ওই সহজ সরল গ্রাহকদের সেই টাকা ফেরত দিচ্ছে না। যে টাকা চাইতে যায় তার বিরুদ্ধেই তারা থানায় মিথ্যে অভিযোগসহ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ প্রতারক মাঠ কর্মীদের হাত থেকে বাঁচতে এবং তাদের টাকা ফিরে পেতে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন মদনা গ্রামের ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।