ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক জেলা পর্যায়ে জাতীয় হিফ্জ প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে উপজেলা পর্যায়ে উত্তীর্ণ হয় হাফেজ মোঃ আনোয়ার হোসেন। সে সুবাদে আসা হয় আনোয়ারের জেলা ইফার কার্যালয়ে। সকাল থেকে জেলা পর্যায়ের হিফ্জ প্রতিযোগিতা চলছিল। ‘খ’ গ্রুপে অনূর্ধ্ব ১৬ বয়স ১ থেকে ২০ পারার প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় আনোয়ার। অল্প কিছু নাম্বারের জন্য হেরে যায় সে।
আলোচনা পর্বের অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াত করেন মোঃ জাহিদ তালুকদার। পরে রাসূলে আরবীর শানে নাতে রাসূল (সাঃ) পরিবেশন করেন প্রতিবন্ধী হাফেজ আনোয়ার হোসেন। তার নাতটি ছিল “গোলাপ নিলাম, গাদা নিলাম, নিলাম রজনীগন্ধা। মনের সুখে মালা গেথেছি- সকাল থেকে সন্ধ্যা। একবার দেখা দেওনা ওগো কামলি ওয়ালা।” নাতটি শেষ হতেই সবাই উচ্চস্বরে মারহাবা বলে উঠল। অতঃপর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল তার চোখের দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে পেতে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
আনোয়ার শাহরাস্তি পৌরসভার কাজীরকামতা আল-আমিন ইসলামিয়া এতিমখানার ছাত্র। তার শিক্ষক হাফেজ মোঃ রেজাউল করীমের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে আসে। শাহরাস্তি উপজেলার দক্ষিণ টামটা এলাকার আক্তার হোসেন পাটওয়ারী ও রওশনারা বেগমের বড় ছেলে আনোয়ার। তারা ৩ ভাই। দুই ভাই প্রতিবন্ধী। আরেক ভাই সবার ছোট রবিউল হোসেন রাবি্ব (১০) সে প্রতিতিবন্ধী। মেঝো ভাই রায়হান (১৪) সেও ঢাকায় একটি দোকানে কাজ করে। রাবি্ব লাউকরা হাফেজিয়া মাদ্রাসায় পড়ে। বাবা আক্তার হোসেন গুরুতর অসুস্থ। সে জানায়, আমাদের অভাবের সংসার। খুব কষ্টে চলতে হয়। বাবা আগে সিএনজি চালাতো। মায়েরও শরীরটা বেশি ভাল না। যিনি আমার গজল শুনার পর বললেন আমার চোখের দৃষ্টি ফেরার জন্য চিকিৎসায় সহযোগিতা করবেন। তাহলে আমি চোখে দেখতে পারবো বলে কাঁদলেন —–কাঁদালেন।
শিরোনাম:
সোমবার , ২৯ মে, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।