জাফর ইদ্রিস
রানী চলেছেন গঙ্গা স্নানে, শত সখি তাঁর সনে
জল তরঙ্গের অথই ঢেউ, আষাঢ়ের বরিষণে।
কহিলেন রানী সখি-সনে, প্রসাদ থেকে বহে গঙ্গা দূরে-
স্নান সারিতে রোজ আসিতে প্রাণে ব্যথা লাগে।
গঙ্গার তীরে নিবির শ্যামলে নোবেল দাশের খামার
গড়বো সেথায় রঙ্গ মহল রাঙাতে জীবন আমার।
রাজা কহিলেন নোবেল দাশেরে, মহা রানীর স্বপ্ন রাঙাতে,
নোবেল কহিলেন প্রভু মহারাজ, খামার দান-তো সামান্য কাজ।
গড়িলেন রাজা প্রাসাদ মহল নোবেলের খামার বাড়ি,
সদরে লিখে ‘গিরি মহল’ খোদাই করে নামজারি।
রাজার আহ্বানে পারস্য হতে এলো বন্ধু এক যুবরাজ
রাজার বন্ধু রাজাই হবে, নেই কোন অবকাশ।
পারস্য রাজ গঙ্গার তীরে করলেন নোঙ্গর নৌবহর,
হেরিলেন নয়নাভিরাম শ্যামল এক মহল।
কহিলেন পারস্য রাজ, কোথায় আমার বন্ধু দেব গিরি ?
কাছের প্রজা-কহিল, রাজা আছে রঙ্গ মহলে “নোবেলের খামার বাড়ি”।
শুনে মহারাজের মাথায় হাত, কি সর্বনাশ! লেখা আছে নাম সদরে,
তবু প্রজা বলে থাকি নাকি-নোবেলর খামারে, হীন হলেম বন্ধুর তরে।
রাজা বললেন এ বদনাম দূর করতে হবে, উজির বললেন, কেমনে?
নাজির বলে এহেন কর্ম সাধন করা কঠিন কাজ হবে মহাশয়।
রাজা বললেন নোবেল দাশেরে, ছেড়ে দিতে হবে জমিদারী,
যেদিকে চোখ যায়- চলে যাবে, তব নাম শুনতে না আর পারি
কহিলেন নোবেল, এহেন আদেশ বড়ই জুলুম-অন্যায় ভারী,
দিয়েছেন জমিদারী লিখে ফরমান, করে মোর নামে নামজারি।
নাজিরকে বললেন রাজা, দেখত খাজনা আছে কিনা বাকি?
খাতা ঘেঁটে বলে, বাকি নাই তবে, একটা পথ আছে জনাব।
বললেন নাজির- এক বছরের খাজনা দিয়েছে দেরিতে ব্যাটা ভুলে
রাজা বললেন, এটাই তার দণ্ডনীয় অপরাধ চড়াও ব্যাটারে শূলে।
শ্যাম রাজ্যে আমি রাজা-উত্তরাধিকার আমার
আমার রাজ্যে থাকবে না -নোবেল দাশের খামার।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ২৭ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৩ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।