সাখাওয়াত হোসেন মিথুন :
হাজীগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে অনিয়ম দুর্নীতির আখড়া দেখার কেউ নেই। একের পর এক দুর্নীতি আর অনিয়মের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বেড়ে চলছে। এ কার্যালয়ে নিয়ম-নীতির কোন ‘বালাই’নেই। প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নেতৃত্বে সিন্ডিকেট করে শিক্ষকদের বদ্ধ করে বাণিজ্য করা অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি দায়িত্বহীন দায়িত্বহীন ভাবে অভিযোগ বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার প্রকাশ পেয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের জন্য জেলা প্রাথমিক কার্যালয় থেকে গত ৩১ মে হাজীগঞ্জ উপজেলায় কতটি শূণ্য পদ খালি জানতে চাইলে ওই প্রতিবেদনে ২৫টি শূণ্য পদের স্থলে ২১টি শূণ্য পদের তালিকা প্রেরণ করেছেন। যার ফলে সধ্যসহকারি শিক্ষক নিয়োগ ২০১১ এর জন্য গৃহীত লিখিত ও মোখিক পরীক্ষায় চুড়ান্ত্ম নিবর্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। এতে চারজন শিক্ষকে’র পদ শূণ্য থেকে যায়। অথচ পদ খালি না থাকায় মেধাবিত্তিক কয়েকজন প্রার্থী নিবাচিত হয়েও জেলার বাহিরে নিয়োগ পেতে হয়েছে। জানা গেছে, হাজীগঞ্জের ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের শীর্ষ নেতা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়েকে নিজ উপজেলায় নিয়োগ প্রদান করা হয়। এছাড়াও আরো কয়েকজনকে বিভিন্ন জেলায় নিয়োগ দিতে হয়েছে। এ নিয়ে হাজীগঞ্জের বিভিন্ন মহলে চরম ক্ষোভ ও অসন্ত্মোষ বিরাজ করছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, একজনের বেতন অন্য জনের নামে সিটে তুলে দেওয়া হয়েছে। অফিসের ঝাড়ুদারের টাকা আত্মসাত করতেও এই দপ্তরের বিবেকে কাঁপেনি। অনুসন্ধানে আরোও জানা যায়, গত ২০১০ সালে সরকারের নির্দেশে শিশু জরিপ পরিচালনা করাহয়। জরিপ শেষে শিক্ষকদের জন্য সকারী তহবিল থেকে ৫০০ টাকা হারে ভাতা প্রদান ককরা হয়। ওইসময় কর্মকর্তাদের গাফলতি আর অবহেলার কারণে ১৫% ভ্যাট সরকারী হিসেবে জমা না করায় সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে অডিট আপত্তি আসে। আপত্তিতে বলা হয়, ট্রেজারী চালানে মাধ্যমে ৭০ হাজার ৯২ টাকা ২৫ পয়সা সরকারী খাতে জমা দিতে হবে। ওই সময়ের জরিপ কাজে অংশগগ্রণকারী অনেক শিক্ষক ইতোমধ্যেঅবসরে, অনেকেই বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেছে। বর্তমানে যারা কর্মরত আছেন তাদের কাছ থেকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশিষ চিরান পত্যেক শিক্ষক থেকে ১০০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করেছে। আর এই চাঁদা তোলার কাজে শিক্ষক সমিতির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান সহযোগীতা করেছেন বলে কথিত রয়েছে। এসব দুর্নীতির কারণে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে বর্তমান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশিষ চিরান কর্মজীবনে এই উপজেলাই প্রথম। বিভিন্ন পত্রিকায় ইতোপূর্বে আরো অন্যান্য অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ-আত্মসাতের খবর প্রকাশের পর ১৮ জন প্রধান শিক্ষকের টিএবিল ফেরত দিয়েছেন।
শিরোনাম:
বুধবার , ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১০ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।