সাখাওয়াত হোসেন মিথুনঃ
চাঁদপুর জেলার প্রাণকেন্দ্র হাজীগঞ্জ পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণীতে উন্নতি হলেও উন্নয়দনের ধারায় অনেক পিছিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে পৌসভার রাস্তঘাট ও বাস ষ্ট্যান্ডের বেহাল দশা হয়ে পড়ে রয়েছে। যেন কেউ দেখেও না দেখার মত রয়েছে। এই পৌরসভায় একটু খানি বৃষ্টি হলে খানাখন্দে ভরে যায় বৃষ্টির পানিতে। যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় পৌরবাসীসহ সর্বস্তরের আগত জনগনের। পৌরবাস ষ্ট্যান্ড ও চাঁদপুর-কুমিল্লা মহা-সড়কের হাজীগঞ্জ বাজারের দু’পাশে ড্রেনেজের ময়লা আবর্জনা উঠিয়ে রাখার কারণে প্রথচারীরা চলাফেরায় বিঘ্ন ঘটছে। সড়কের দু’পাশে রিঙ্া, সিএনজি অটোরিঙ্া, বাস, ট্রাক রাখতে বিভিন্ন সমস্যা পোহাতে হয়। সড়কের পাশে ড্রেনের ময়লা আবর্জনা রাখার কারণে চালক যাত্রীদের উঠা নামার জন্য বেঘাত ঘটে। তাই নিরুপায় হয়ে ড্রেনেজের ময়লা আবর্জনার উপর যাত্রীদের নামতে হয়। এতে করে জনসাধারণের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তার দু’পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা হলেও ডাস্টবিন এর ব্যবস্থা এখানে নেই। দুর দুরান্ত থেকে আসা লেকজন একের পর এক ড্রেনে পড়ে ময়লা আবর্জনায় মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ে এবং হাত পা ভাঙ্গাসহ নানা দূর্ঘটনার শিকার হয়। অন্য দিকে হাজীগঞ্জ বাজারের ময়লা আবর্জনা সুইপার পরিস্কার করে যথাস্থানে ফেলে রাখে। এতে করে দূর্গন্ধে পথচারীরা হাটাচলায় বিঘ্ন ঘটছে। আবার কখনো কখনো দেখা যায় পৌরসভার ময়লা আবর্জনা রাস্তার দু’পাশে গলির মুখে মুখে খুটির গোড়ায় আবর্জনা সাধারণ মানুষ রেখে যায়। সুইপার সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও দেখা যায় ময়লা নেওয়ার কোন খবর থাকে না। এতে করে দোকানদারদের ব্যবসা বানিজ্য করতে বিভিন্ন সমস্যা পোহাতে হয়। এ ব্যাপারের সুইপারদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, আমরা ঠিকমত ভোর বেলা আসতে পারি না এ কারণে আমাদের হাজীগঞ্জে থাকার কোন সু-ব্যবস্থা করে দেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। তাই আমাদের আসতে অনেক সময় ট্রেন মিস করলে আসতে দুপুর বা বিকেল হয়ে যায়। সকল সমস্যার সমাধানে পৌর কর্তৃপক্ষের হস্ত্মক্ষেপ কামনা করেন সুশিল সমাজ।
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ