মিজানুর রহমান রানা
প্রথম স্ত্রীর সাথে প্রতারণা ও তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় বিয়ে করতে এসে এক প্রবাসীকে যেতে হলো শ্রীঘরে। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ঈদের পরদিন চাঁদপুর শহরের বিষ্ণদী এলাকায়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ পাটওয়ারী বাজার এলাকার শাশিয়ালী পাটওয়ারী বাড়ির তাজুল ইসলামের পুত্র কুয়েত প্রবাসী মুজাম্মেল হোসেন সুমন (৩২) একই উপজেলার গোবরচিতা বরকন্দাজ বাড়ির দেলোয়ার হোসেনের কন্যা রেবেকা সুলতানাকে (২২) বিয়ে করে ২০১০ সালের ২৮ জুন। বিয়ের ৫ মাস পর সে পুনরায় বিদেশে চলে যায়। এরই মধ্যে তার প্রথম স্ত্রীর গর্ভে নাফিসা তাবাচ্ছুম নামের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। প্রথম স্ত্রী কেনো কন্যা সন্তান জন্ম দিলো এবং সিজারে কেনো হলো- এমন অভিযোগ এনে এরপর থেকেই শুরু হয় স্বামীর নানা বাহানা। প্রবাসে থাকাকালীন সে বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করে বলে অভিযোগ প্রথম স্ত্রীর। দাবি অনুযায়ী তার শশুর পর্যায়ক্রমে ফার্নিচার ক্রয়ের জন্যে ২লাখ টাকা, ৬ ভরি স্বর্ণ ও সর্বশেষ শহরের বিটি রোডে জায়গা কেনার জন্যে ১০লাখ টাকা দেয়। অভিযোগ রয়েছে, গতমাসে সে দেশে আসার পর থেকে এ পর্যন্ত স্ত্রী সন্তানের কোনো খোঁজখবরও নেয়নি এবং শশুর বাড়িতেও যায়নি।
ঘটনার দিন প্রথম স্ত্রী ও সন্তানকে রেখে তথ্য গোপন করে চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী এলাকায় বিয়ে করতে যায় কুয়েত প্রবাসী মুজাম্মেল হোসেন সুমন (৩২)। এমন খবর পেয়ে তার প্রথম স্ত্রী রেবেকা সুলতানা ও তার বাবাসহ তার আত্মীয়স্বজনরা এসে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই মানিক মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স বিয়ের আসর থেকে স্বামী মুজাম্মেলকে আটক করে। পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
শিরোনাম:
রবিবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।