মিজান লিটন॥
চাঁদপুর সদর ৫১নং মৈশাদী বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিকিা ইয়াছমিন সুলতানার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় তার পদত্যাগের দাবীতে মানব বন্ধন করেছে নির্যাতিতা কুলসুমা সহপাঠিরা। দীর্ঘদিন হয়ে গেলো নির্যাতনকারি প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোন প্রদক্ষেপ গ্রহন না করায় অবশেষে এবার মানব বন্ধনের মাধ্যেমে মাঠে নেমেছে কোমলমতি শিশুরা। আজ শনিবার বিদ্যালয়ের সামনে প্রধান শিক্ষিকার পদত্যাগের দাবীতে তারা এ মানব বন্ধন করে। ঘটনার সুত্রপাতে ছিলো, মৈশাদী ইউনিয়নে মিজি বাড়ির অসহায় হতদরিদ্র গার্মেটস্ কর্মী জেসমিন বেগমের ৮ বছরের শিশু কন্যা কুলছুমাকে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করে ১ বছর পর মুক্তি দেয়ার খবর চাঁদপুরে কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় অভিযুক্ত প্রধান শিকিা গা ঢাকা দিয়েছে। ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ঘটনা তদন্তে স্কুলে শিা কর্মকর্তা পরিদর্শন করেন।
ঘটনা তদন্তে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযুক্ত প্রধান শিকিা ইয়াছমিন সুলতানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গত ১৬ নভেম্বর রোববার দুপুর ১১টায় উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিা অফিসার মনিরজ্জামান খান বিদ্যালয়ে গিয়ে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পায়। শিা কর্মকর্তা বিদ্যালয়ে তদন্ত যাওয়ার খবর শুনে প্রধান শিকিা ইয়াছমিন সুলতানা মুঠোফোনে সহকারী শিকিা কামরুন নাহারকে ঘটনাটি মিথ্যে বলার জন্য বলেন। সহকারী উপজেলা শিা অফিসার মনিরুজ্জামান স্কুলে গিয়ে নির্যাতিত কুলছুমাকে অনুপস্থিত দেখে বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের তার সম্পর্কে জানতে চাইলে তাকে চিনেনা এমনকি কখনো কুলছুমাকে স্কুলে দেখেনি বলে জানান। কিন্তু প্রধান শিকিার কথামত শ্রেণী শিক কামরননাহার ছাত্রী কুলছুমাকে চিনে এবং প্রতিদিন স্কুলে আসে বলে জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিা অফিসার নাজমা বেগম জানিয়েছিলেন, স্কুলছাত্রী কুলছুমা নির্যাতনের ঘটনা যাচাইয়ের জন্য উপজেলা সহকারী শিা অফিসার মনিরুজ্জামানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান শিকিা ইয়াসছমিন সুলতানা বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ৮ বছরের কুলছুমাকে পড়ালেখার কথা বলে শহরের মাদ্রাসা রোডে ভাড়াটিয়া বাসায় আটকে রেখে জিয়ের কাজ করাতো। তাদের কথামত বাসার কাজ করতে না পারায় শিকিা ইয়াসমিন সুলতানা শিশু কুলসুমাকে কাটাচামচ দিয়ে তার শরীরের কানে ও হাতে আঘাত করে। এছাড়া লাঠি দিয়ে বেদম পিটানোর ত চিহ্ন তার শরীরে রয়েছে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ১ বছর পর গত ৭ নভেম্বর শুক্রবার সকালে কুলছুমা আক্তার তার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি যাওয়ার পরে শিকিা ইয়াছমিন সুলতানার আসল চেহারা বেরিয়ে আসে। ইয়াছমিন সুলতানা ও তার স্বামী বনবিভাগের কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন শিশু নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য শহরের জেএম সেনগুপ্ত রোডস্থ একটি অফিসে নির্যাতিত শিশু কুলছুমার পরিবারের সাথে সমঝোতায় বসে। পরে চিকিৎসা যতসামান্য টাকার বিনিময়ে লোমহর্ষক ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় এলাকার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পরে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা প্রমাণ পেয়ে মূল রহস্য পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ করে।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৭ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।