চাঁদপুর জেলাধীন মতলব উত্তর উপজেলার গাজীপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী বাবুলের স্ত্রী ছালেহা বেগম (২৫)-এর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
গত রোববার রাত সাড়ে ৮টায় স্বামীর বাড়ি থেকে বিষক্রিয়া অবস্থায় ছালেহা বেগমকে তার শ্বাশুরী আয়েশা বেগম চাঁদপুরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। হাসপতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ওমর ফারুক হাসপাতাল থেকে মৃত ছালেহাকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসে। গৃহবঁধূর মৃত্যুর খবর শুনে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়।
গতকাল ১ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে ময়নাতদন্ত হওয়ার পর পুলিশকে না জানিয়ে মর্গ থেকে ছালেহার শশুর বাড়ির লোকজন তাকে নিয়ে যায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মতলব উত্তর গাজীপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে বাবুলের সাথে কচুয়ার গুতপুর গ্রামের মফিজের মেয়ে ছালেহা দীর্ঘ ৫ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বাবুল ৪ বছর যাবৎ দুবাই থাকাবস্থায় বিদেশ থেকে টাকা ছালেহার মায়ের অ্যাকাউন্টে পাঠাতেন। এনিয়ে ছালেহার শ্বশুর-শ্বাশুরি ও দেবরের সাথে বাক্বিতণ্ডা হতো। ঘটনার দিন রাতে অজ্ঞাত কারণে বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হলে শ্বাশুরী আয়েশা বেগম তাকে হাসপাতলে নিয়ে আসে। হাসপাতালের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণার পর শ্বাশুরী আয়েশা গৃহবঁধূর গলা, কান ও নাকের স্বর্ণ খুলে লুকিয়ে ফেলে। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকরা তার ছবি তুললে, টের পেয়ে কাঁন্নার অভিনয় করে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে গৃহবঁধূ মৃত্যু হওয়ার পর লাশ মর্গে না নিয়ে উভয়ের পরিবার বিদেশী পাঠানো টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সালীশ বৈঠকে বসে।
এসময় উভয়ের মধ্যে বাক্বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। মৃতঃ সালেহার স্বজনরা থানায় না আসার কারণে চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ওমর ফারুক মতলব উত্তরে গাজীপুরের চকিদার নজরুলের কাছে ফোন করে স্বজনদের আসতে বলে। পরে সালেহার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিকেলে মর্গ থেকে লাশ নিয়ে যায়।
শিরোনাম:
রবিবার , ৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ১৯ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।