মিজান লিটন ॥
ঔষধ ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকদের প্রতি প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় চাঁদপুর জেলায় ভিবিন্ন স্থানে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো ঔষধের দোকান গড়ে উঠেছে এবং পল্লী চিকিৎসকরা রমরমা বানিজ্য চালাচ্ছে। আর.এম.পি ও এল.এম.এ ৩/৬ মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে রীতিমত তারা ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে নিরাপদে। নামের পূর্বে ডাক্তার উপাধী ব্যবহার করে সাইন বোর্ড, ব্যানার, রঙ্গিন প্যাডে চিকিৎসা দেওয়ার যোগ্যতা নিয়ে কাজ শুরু করলেও এসব অবৈধ ডাক্তার চুক্তি ভিত্তিক ফুল কোর্সে চিকিৎসা করে যাচ্ছে, আর হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। অনেক পল্লী চিকিৎসক ফার্মাসিস্ট, ড্রাগিষ্ট এন্ড ক্যামিস্ট পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে যাচ্ছে সাধারণ জনগনের সাথে। ড্রাগ লাইসেন্স নাই অধিকাংশ পল্লি চিকিৎসকের। তথাপি ঔষধের দোকান সজিয়ে নি¤œ মানের এবং মেয়াদ উত্তির্ণ ঔষধ বিক্রি করছে রিতিমত রোগীদের কাছে। এসব ভুয়া পল্লী চিকিৎসকরা যৌন উত্তেজক টেবলেট ও ক্যাপসুল বিক্রি করছে উর্তি বয়সের যুবকদের কাছে। এতে করে সমাজে বাড়ছে ইভটেজিং সহ নানা ধরণের অনৈতিক কার্জ কলাপ। এ সকল চিকিৎসকরা বিশেষ করে বিভিন্ন প্যাথলজি ও ডাগনষ্টিক সেন্টারে দালাল হিসেবে কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোগীরা পল্লী চিকিৎসকের কাছে সেবা নেওয়ার জণ্য গেলে তারা চিকিৎসার জন্য নানান পরীক্ষা-নিরিক্ষার কথা বলে তাদের নির্ধারিত ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোতে পাঠিয়ে দেয় এবং চুক্তি ভিত্তিক কমিশন হিসেবে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। এসব পল্লী চিকিৎসকের অনিয়ম, দূর্ণিতি ও দুর্বলাতার সুযোগে কিছু কিছু প্রাতারক চক্র আইন সৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনি ও প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে তাদেরকে ভয় ভিতি দেখিয়ে মাসহারা নিচ্ছে বলে জেলা ব্যাপী অভিযোগ উঠেছে।
মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধানের জানা যায়, এসব ভুয়া চিকিৎসকরা বাব-দাদর হাত ধরে এ চিকিৎসা পেশায় এসেছে। কোন ধরণের প্রশিক্ষন, ডিগ্রী, লাইসেন্স না থাকলেও এরা হরহামেসায় ডাক্তার পরিচয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে এবং বিশাল আকার সাইন বোর্ডেও নামের পূর্বে ডাক্তার ব্যবহার করছে। এদের অপচিকিৎসায় অনেক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে থাকে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ রথীন্দ্রনাথ মজুমদার এর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, এম.বি.বি.এস ও বি.ডি.এস ব্যাতিত কেহই নামের পূর্বে ডাক্তার ব্যবহার করতে পারবে না। যদিও কেউ করে তাহলে তা সম্পূর্ণ বে-আইনি। তিনি আরো বলেন, এ ধরনের পল্লী চিকিৎসকদের বহুবার এ ব্যপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আমরা ইতি মধ্যেই মাঠ পর্যায়ে এদের অনৈতিক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষনের জন্য প্রদক্ষেপ নিবো।
এসময় বিএমএর সভাপতি ডাঃ হারুনুর রশিদ সাগরের সাথে আলাপকালে তিনিও জানান, বিএমডিস’র নিয়মানুযায়ী এম.বি.বি.এস, বি.ডি.এস ছাড়া কেহই নামের পূর্বে ডাক্তার লিখতে পারবে না। যারা এ ধরনের ডিগ্রী ছাড়া নামের পূর্বে ডাক্তার লিখে তারা জন সাধারণের সাথে প্রতারণা করছে। এটা ঠিক নয়। বিএমএর কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে নির্দেশনা আসলে আমরা এদের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রদক্ষেপ নিবো।
সাধারণ জনগণ ও ভোক্তভোগীদের দাবী এ ধরনের প্রতারক পল্লী চিকিৎসকদেরকে এখনি যদি আইনের আওতায় না আনা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে দিন দিন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে থাকবে। তাই এখনি তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
শিরোনাম:
রবিবার , ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।