কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না চাঁদপুর মেঘনা অঞ্চল থেকে বালু উত্তোলন। বৈধ-অবৈধ কে কিভাবে বালু কাটছে, বালু কাটার স্থান পরিমাণ, রাজস্ব আদায়ের নিয়মই বা কী?। প্রতিদিন কত ঘনফুট বালু কাটা হচ্ছে। সরকারই কত রাজস্ব পাচ্ছে। কোনো নিয়ম-নীতির বালাই নেই। প্রশাসনেরও নেই কোনো তদারকি। মেঘনায় চাঁদপুর এলাকায় বালু দস্যুতায় সরকারের শ’ শ’ কোটি টাকা চলে যাচ্ছে ব্যক্তির পকেটে। রাতারাতি বনে যাচ্ছে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ। এসব দেখার জন্য যেন কেউ নেই। প্রশাসনও অসহায়। চাঁদপুর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর কড়া নির্দেশ যারা মেঘনায় অবৈধভাবে বালু কাটছে তাদের শক্ত হাতে দমন করার। শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে জেলার আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য কড়া নির্দেশ প্রদান করে গেছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন নদ-নদী থেকে বালু উত্তোলনের জন্য সরকার স্ব-স্ব জেলা প্রশাসকের অধীন রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট এলাকায় বালু কাটার জন্য বালু মহাল ইজারা দিয়ে আসছে। সরকারের এ খাতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় হচ্ছে। উল্টোটা দেখা যাচ্ছে চাঁদপুরে দিনের পরদিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর এমন কি যুগও চলে যাচ্ছে মেঘনা নদীর চাঁদপুর এলাকায় বালু দস্যুতা চলছে তো চলছেই। জেলা প্রশাসনের রাজস্ব বিভাগ থেকে এ যাবৎ বালু মহাল ও ইজারা প্রদান করা হয়নি। অথচ বালু কেটে প্রাকৃতিক সম্পদ লুটে নেয়া হচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, হাইমচর উপজেলার কাটাখালী, হরিণা সাখুয়া লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোলহেডের পশ্চিম-উত্তর দিকে, মতলব উত্তর উপজেলার এখলাশপুর, ষাটনাল এলাকায় বালু কাটা হচ্ছে। ছোট বড় মিলিয়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫টি ড্রেজার বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। উচ্চ আদালতের রিট আছে, মহামান্য হাইকোর্টের অনুমোদিত এসব বলে চাঁদপুরের নদ-নদীর প্রাকৃতিক সম্পদ বালু দস্যুরা লুটে নিচ্ছে। বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রশাসন বা সরকার এ অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে বা সরকারের রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে কার্যকর কোনো পদক্ষেপেই নিতে দেখা যায় না। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের সময় দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এ বালু কেটে অনেকে কোটিপতি। গাড়ি বাড়িসহ বিপুল সম্পদের মালিক হয়ে গেছেন। বিগত বিএনপি সরকারের সময় সে দলের কতিপয় নেতা হঠাৎ করে কোটিপতি হয়। সরকার আসে সরকার যায় চাঁদপুরের বালু দস্যুতা বন্ধ হয় না। সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ব্যক্তির পকেটে চলে যাচ্ছে। একটি সূত্র জানায়, চাঁদপুরে বালু উত্তোলনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে কোনো বালু ইজারা প্রথা চালু করা হয়নি। জনমনে প্রশ্ন তাহলে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি না থাকলে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন তারা কিভাবে করছে। সরকারের রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে মেঘনার বালু উত্তোলনের নীতিমালা প্রণয়ন করে বৈধভাবে বালু কাটার বালু মহাল ইজারা প্রথা চালু করা হোক। কারা বিগত বছরগুলোতে কি পরিমাণ বালু কেটে সরকরের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে রাজস্ব আদায় করা হোক এমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল।