মতলব উত্তরঃ
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের খুনেরচর গ্রামে নিজ পছন্দের (প্রেমিকের) সাথে বিয়ে না দিয়ে অন্যত্র বিয়ে ঠিক করায় সাগরিকা আক্তার (১৮) নামে এক যুবতী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলার এখলাছপুর ইউনিয়নের খুনেরচর গ্রামের বিল্লাল মালের মেয়ে। তারা ২ ভাই ও ১ বোন। ভাই-বোনদের মধ্যে সে সবার বড়। গত সোমবার রাত শেষে মঙ্গলবার ভোর রাতে বাড়ির একটি পেয়ারা গাছের সাথে ওড়না পেচিয়ে সে আত্মহত্যা করে বলে জানা যায়।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত সোমাবার দিনের বেলায় মতলব উত্তর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকার জনৈক যুবক তার লোকজন সাগরিকাকে বিয়ের জন্য পাত্র পছন্দ করতে বাড়ি যায়। এক পর্যায়ে ওই যুবকের সাথে সাগরিকার বিয়ের কথা চুড়ান্ত হয়। এতে বাধ সাজেন পাত্রী সাগরিকা। তিনি তার পরিবারকে জানিয়ে দেন এ বিয়েতে তার মত নেই। সে বিয়ে করলে তার পছন্দের পাশ্ববর্তি এক ছেলে (প্রেমিক)কে বিয়ে করবেন। নতুবা সে আত্মহত্যা করবেন। তারপর দিন সোমবার আবার বিয়ে নিয়ে কথা হলে সাগরিকা আবার বিয়ের ব্যাপারে আপত্তি জানায়।
কিন্তু তার বাবা বিল্লাল মাল তাকে বাবার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করতে হবে বলে জানিয়ে দেন। এরই সুত্র ধরে মঙ্গলবার ভোর রাতে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লে সাগরিকা ঘড়ের পাশের একটি পেয়ারা গাছের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। সকালে ঘুম থেকে ওঠে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে সাগরিকার মা চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।
পরে বিষয়টি মতলব উত্তর থানা পুলিশকে খবর দেয়। মঙ্গলবার বিকেলে মতলব উত্তর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহআলম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। তবে তিনি এলাকাবাসীর ও পরিবারের দাবীর মুখে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য না পাঠিয়ে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করার জন্য রেখে চলে আসেন।
মতলব উত্তর থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, আত্মহত্যার বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরিবারের লোকজন পুলিশকে জানিয়েছে যে মেয়েটি দীর্ঘ দিন পেটের ব্যাথায় ভুগছেন। পেটের বেথায় সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়না তদন্ত করা হয়নি বলে তিনি জানান।