প্রতিনিধি
শাহরাস্তিতে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ৫ বন্ধু মিলে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করার পর ৩ জন আটক হয়েছে। অপহরণকারীরা ছাত্রীর বাবাকে বেদম মারধর করে তার কাছ থেকে তার মেয়েকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয় জনতা ৩ অপহরণকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে, তবে ২ অপহরণকারী পালিয়ে যায়।
থানায় অভিযোগকারী ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় করফুলেন্নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসির প্রথম বর্ষের ছাত্রী ও তার পিতা মোঃ হোসেন ভূঁইয়া কলেজ থেকে সিএনজি স্কুটার যোগে বাড়িতে যাওয়ার সময় সূচিপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের রাগৈ আমলাবাড়ি এলাকায় ৫-৬ জন অপহরণকারী সিএনজি স্কুটার যোগে ছাত্রীকে বহনকারী স্কুটারের গতিরোধ করে তার পিতা মোঃ হোসেনকে বেদম মারধর করে স্কুটার থেকে বের করে ফেলে দেয় এবং ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে ফিল্মি স্টাইলে তুলে নিয়ে স্থান ত্যাগ করে। অপহরণকারীরা স্কুটারের ভেতর ছাত্রীকে বেদম মারধর করে এবং তাদের কথার বাইরে না যাওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি ভয় প্রদর্শন করে। তারা একই ইউনিয়নের সংহাই কাশিপুর বাড়ির সফিকের নির্জন দালান ঘরে বন্দী করে এবং বেদম মারধর করে শারীরিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে অপহরণকারীরা তার মুখ চেপে ধরে ছাত্রীর শরীরে ইনজেকশেন পুশ করে অচেতন করে স্কুটার যোগে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই বাড়ির দুই নারী ডাক-চিৎকার দিলে স্থানীয় জনতা ঘটনাস্থলে ৩ অপহরণকারীকে আটক করে এবং ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
আটককৃত অপহরণকারীরা হলো মোঃ তানজিল (২৮) (পিতা : নুর মোহাম্মদ, সাং রাগৈ পন্ডিত বাড়ি), সাহিন আলম (২৫) (পিতা কবির হোসেন), রাতুল (২৩) (পিতা রফিকুল ইসলাম সাং রাগৈ মালেক মৌলভি সাহেব বাড়ি)। এছাড়া কেশরাঙ্গা গ্রামের রাসেল ও অপর অজ্ঞাত অপহরণকারী পালিয়ে যায়। স্থানীয় জনতা বিষয়টি শাহরাস্তি মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করলে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) দিলদার আজাদ, উপ-পরিদর্শক মোঃ মহিন উদ্দিন, উঘারিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলামের সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পেঁৗছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ ৩ অপহরণকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় শাহরাস্তি মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অপহৃত কলেজ ছাত্রী জানান, ৪ মাস পূর্বে বখাটে তানজিল আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়, আমি তার প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করি। সে আমাদের বাসার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে আমাদের পরিবারের সদস্যদের বিরক্ত করতো। আমাদের কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠান শেষে আমার বাবার সাথে বাড়িতে যাওয়ার সময় তানজিল তার বন্ধুদের নিয়ে আমার বাবাকে মারধর করে আমাকে স্কুটার থেকে তুলে নিয়ে বেদম মারধর করে শারীরিক নির্যাতন চালায়। বখাটেরা আমার শরীরে ইনজেকশন পুশ করলে আমি আর কিছুই বলতে পারবো না।
এ বিষয়ে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) দিলদার আজাদ জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ অহরণকারীকে আটক করেছি। কলেজ ছাত্রী শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েচিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।