পাট যার অপর নাম শোনালী আষ। এক সময়ে দেশের প্রধান রপ্তানী পন্য ছিলো এই পাট, যা বর্তমানে হারিয়ে যাওয়ার পথে। পাট চাষে তেমন লাভ নেই বলে এখন আর চাষিদের তেমন আগ্রহ নেই। এতদ সত্তেও কিছু চাষিদের একান্ত ইচ্ছায় আজও চাষ হচ্ছে শোনালী আষ ক্ষ্যাত পাট। বছরের চৈত্র মাসে পাট বুনে থাকে চাষিরা আর শ্রাবন-ভাদ্র মাসে পাট তোলা হয়। আগের মত রপ্তানি না হলেও কিছু ব্যবসায়ীরা এখনো পাটের সামগ্রী তৈরী করে থাকে। আর এসব কাজের জন্যই বর্তমানে পাট ব্যবহার হয়। রাষ্ট্রীয় উদ্দোগে পাটযাত পন্য ব্যবহারে জনগনের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হলে পাটজাত পন্যের ব্যবহার হয়ত আরো বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে দেখা দিবে পাটের চাহিদা। চাঁদপুরের কৃষকদের মাঝে পাট চাষের আগ্রহ এখনো বৃদ্ধমান রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথা সরকারী পৃস্টপোষকতা পেলে চাঁদপুরের কৃষকদের মাঝে পাটচাষ আবারো হয়ে উঠতে পারে জনপ্রিয়।
মজমা বসিয়ে ঔষদ বিক্রয়
মজমা বসিয়ে ঔষদ বিক্রয়। শহর-গ্রাম সবখানেই আছে এমন ঔষদ বিক্রেতাদের পদচারনা, শরুটা হয় আকর্ষনীয় কোন উক্তি দিয়ে। এর পর পথচারিদের আকৃস্ট করতে নেয়া হয় নানা কৌশল। উদ্দেশ্য একটাই, বেচতে হবে ঔষদ। তাই ছলেবলে কৌশলে মানুষের মন ভুলিয়ে অবশেষে ধরিয়ে দেয়া হয় নিজেদের তৈরী বাতের বড়ি। চলতি পথে চাঁদপুরের বাবুর হাটে দেখা মিলে এমনি এক মজমা। সবেমাত্র গোছানো হয়েছে এখনো শুরু হয়নি মজমার কাজ। এমন সময় একজন মাইক হাতে নিয়ে বলতে লাগলেন আইছেরে দেশের সেরা শিল্পি বাবুরহাটবাসিরে ফ্রি গান সোনাইবো। বলতে বলতে ছোট এক বালককে সামনে এগিয়ে আনা হলো গান গাইবার জন্য। এই বালকই হলো তার ভাষায় দেশের সেরা শিল্পি। এরপর শুরু হয় মজমার কাজ। এভাবেই শহরের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় ভ্রাম্যমান ঔষদ বিক্রেতারা বসায় তাদের মজমা। লোভনিয় এবং আপত্তিকর সব ছবি দেখিয়ে ও কথায় ভুলিয়ে নিত্যদিন মানুষের পকেট খালি করাই যাদের কাজ। এসব ভ্রাম্যমান ঔষদ বিক্রেতাদের নেই কোন লাইসেন্স। তবুও তারা বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে এমন ব্যাবসা।
চলছে বর্ষা মৌসুম গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়
চলছে বর্ষা মৌসুম বছরের এ সময়টাই হলো গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। গাছ ব্যাবসায়ীরা সারা বছরধরে গাছের চারার যত্ম করে এসময় বাজারে বিক্রি করে থাকে। গাছ প্রেমী ক্রেতারাও আসেন পছন্দের গাছ কিনতে। সবমিলে কেনাবেছা চলছে হরদম। মাত্র কয়েকদিন আগে চাঁদপুরে হাসান আলী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে বৃক্ষ মেলা। মেলায় সবধরনের ফুল ও ফলের গাছ রয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মেলায় ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ করা যায়। আর এতেই অনুমান করা যায় আমাদের মাঝে গাছের কদর আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই মৌসুমে একটি করে হলেও গাছ লাগিয়ে নিজেকে দেশ গড়ার অংশিদার করুন।
দেশ বিক্ষাত আখের চাষ হয় চাঁদপুরে
এখন চলছে আখের মৌসুম, এসময়টাতেই বাজারে আসতে শুরু করে আখ। দেশ বিক্ষাত ও মজাদার আখের চাষ হয় চাঁদপুরে, আর তাই দেশের সবখানেই এমন আখের রয়েছে ব্যপক চাহিদা। চাহিদার তুলনায় আখের চাঁষ কম হওয়ায় দামও একটু বেশি। বর্তমানে চাঁদপুরের আখ প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত। ছবিতে চাঁদপুর বাবুরহাট বাজারে এক ব্যাবসায়ী আখ বিক্রিতে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা যাচ্ছে।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ভেল দিয়ে মাছ স্বিকার
চলছে বর্ষ মৌসুম খাল-বিলে এখন থৈথৈ পানি, এ সময় মাছেদের অবাদ বিচরণ। কোথায়ও যেতে নেই মানা। বাধা সুধু একটাই, আর তা হলো ভেল। খালে-বিলে মাছ শিকারে ফেলা হয়েছে ভেল আর সে ভেলে কখন উঠবে মাছ তারই অপেক্ষায় রয়েছে ভেলের মালিক ও রাস্তার পাশে বসা ক্রেতারা। আগের মত এখন আর মাছের দেখা মিলে না তাই কোন কোন ভেলের মালিক হয়তো মাছ না পেয়ে ভেল তুলে রেখেছেন। গ্রাম বাংলায় ভেল দিয়ে মাছ ধরার এমন দৃশ্য এখন আর তেমন একটা দেখা যায় না। তবে চাঁদপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো এমন দৃশ্যের দেখা মিলে। বাবুরহাট-মতলব সড়কের দু’পাশে এমন ভেল রয়েছে প্রায় ১০-১৫টি। এসব ভেলের মালিকরা ভেল ফেলার আগেই দেখা যায় ক্রেতারা দাড়িয়ে আছে কখন ভেল ফেলা হবে। কারণ একটাই তাজা মাছের স্বাদ পেতে ভেলের বিকল্প নেই। এসব ভেল মালিকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, বছরের ৬ মাসের জন্য তারা খাল-বিলে ভেল পেলেন। আর এর জন্য আসপাসের জমির মালিকদেরকে দিতে হয় মাছের একটি ভাগ। আবার কেউ নেয় এককালিন নগদ টাকা। তবে আগেরমত এখন আর মাছের দেখা মিলে না। তাই তাদের দাবী প্রতিবছর মৎস সপ্তাহ উপলক্ষে উম্মুক্ত খাল-বিলে মাছের ফোনা অবমুক্ত করা প্রয়োজন। তাহলে হয়তো মাছে ভাতে বাংগালী কথাটা আবারো আমরা বলতে পারবো।