সড়কটি মাত্র এক কিলোমিটারের। এর উভয় পাশেই পাকা সড়ক রয়েছে। এটি দিয়ে চলাচল করে দুটি মাদ্রাসা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ কয়েকটি গ্রামের লোকজন। কিন্তু গত এক দশকে সড়কটি পাকাকরণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কেউই। ফলে বর্ষা বা শুষ্ক মৌসুমসহ বছরের যে কোনো সময়ই চলাচলের অযোগ্য থাকে সড়কটি। বর্ষায় কাদাপানি এবং শুকনো মৌসুমে বালির কারণে সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী শিক্ষার্থীসহ জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের মাদ্রাসা সড়কের চিত্র এটি।
স্থানীয়রা জানায়, গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম গোবিন্দপুর ছলেহিয়া মাদ্রাসা থেকে মহিলা মাদ্রাসা পর্যন্ত এই এক কিলোমিটার সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। প্রতিদিন কৃষি কাজ থেকে শুরু করে মাছ ও সবজি বিক্রির জন্য বাজারজাত করতে এই সড়কটির ওপর নির্ভর করতে হয়। গোবিন্দপুর সালেহিয়া মাদ্রাসা ও মহিলা মাদ্রাসা ছাড়াও রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীকে এই সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। বছরের বর্ষা মৌসুমে কাদাপানির কারণে চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা চরাফেরার জন্য একপাশে বালি ফেলে। এই বালিই শুষ্ক মৌসুমে ধূলিময় করে সড়কটিকে। কাদাপানি ও ধূলি থেকে মুক্তি পেতে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিকে পাকাকরণের জন্য দাবি জানালেও জনপ্রতিনিধিরা কেউ কর্ণপাত করেননি। এভাবেই চলে আসছে গত এক দশক ধরে। শুধু দায়সারা আশ্বাসেই সড়কটির উন্নয়ন সীমাবদ্ধ রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা জুড়ে হাঁটু সমান কাদা থাকায় সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারছেন না। রাস্তার আশপাশের ঘরবাড়ির মানুষ অনেকটাই ঘরবন্দী জীবন-যাপন করছেন। বিকল্প রাস্তা না থাকায় এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে সকলকে।
এ ব্যাপারে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, সড়কটি সারাবছরই ব্যবহার অনুপোযোগী থাকে। গ্রামের দরিদ্র শিক্ষার্থীকে সড়কটির জন্য একাধিক ড্রেস ব্যবহার করতে হয়। যা তাদের পরিবারের জন্য বাড়তি চাপস্বরূপ।
এলাকাবাসীর পক্ষে ইউসুফ কাজী বলেন, সড়কটি নিয়ে আমরা বহুবার এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সকলের কাছে আবেদন করলেও কোনো ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়নি। তাই আজ নিজ উদ্যোগে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় নিজেরা চলাচলের জন্য বালু দিয়ে কিছু অংশের কাজ করেছি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন, সড়ক পাকাকরণ আমার কাজ নয়। এগুলো হলো এমপিদের কাজ।