প্রতিনিধি =
চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার উত্তর ধানুয়া এলাকায় পুকুরে মাছ চাষকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিসহ বিবাদীপক্ষের আসামীকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উত্তর ধানুয়া গ্রামের মোঃ ফারুক পাটওয়ারী ও ইমাম হোসেন বেপারী গংয়ের সাথে একই বাড়ির পুকুরে মাছ চাষকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ক’দিন আগে বাদী পক্ষ অর্থাৎ ইমাম হোসেন বেপারী গং ফরিদগঞ্জ থানায় একটি জিডি বা অভিযোগ দাখিল করে। এই প্রেক্ষিতে চাঁদপুরের পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ফরিদগঞ্জ থানার এস. আই. সুধাংশু ও সঙ্গীয় ফোর্স ওই অভিযোগের আলোকে গতকাল দুপুর ২টা নাগাদ ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে যায়। এ সময় বিবাদী মোঃ ফারুক পাটওয়ারী গংদের উপস্থিত না পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও এস. আই. সুধাংশু এবং সঙ্গীয় ফোর্সের সামনে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল আজিজ, পিতা- হোসেন আলী, ফারুক পাটওয়ারীর স্ত্রী নাছিমা আক্তার (২৫)কে তোমার স্বামী কোথায় এ কথা বলে গলায় ধাক্কা দিয়ে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে এস. আই. সুধাংশু ও বাদী পক্ষের ইমাম হোসেন বেপারী, কামাল বেপারী, পিতা- আলী আকবর বেপারী, আবদুল হক চকিদার, পিতা-সামছুল হক চকিদার, নাছিমা আক্তারকে বেদম মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। শুধু তাই নয়, এক পর্যায়ে ওই নারীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানগুলোতেও আঘাত করে তাকে লাঞ্ছিত করে। নির্যাতনের কারণে ওই নারীর মুখ ও নাক দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। সে উপায় না পেয়ে চাঁদপুর জেলার একজন ঊর্ধ্বতন জনপ্রতিনিধির (তিনি সাবেক সামরিক কর্মকর্তা) নাতনী পরিচয় দিলে পুলিশের ওই কর্মকর্তারা নীরব হয়ে পিছু হটে। আর বাদী পক্ষ পুলিশের উপস্থিতিতে অনেকটা দাপটের সাথে কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দিয়ে চলে আসে। পরে আহত নারীর নিকটাত্মীয়রা তাকে ২৫০ শয্যার চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহত নারী চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
অভিযোগে আরো জানা যায়, উল্লেখিত ইমাম হোসেন বেপারী ও কামাল বেপারী স্থানীয় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মূল হোতা। গত ক’ বছর পূর্বেও তারা মাছ চাষ করে মানুষের কয়েক একর সম্পত্তির ধান নষ্ট করে। এ নিয়ে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তরা বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার তো পায়নি বরং উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা একের পর এক হুমকি দিয়ে তাদের নানাভাবে নাজেহাল করে। এছাড়াও এলাকায় এদের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও অপরাধী কর্মকাণ্ডের বহু অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ এদের সাথে সখ্যতার কারণে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়নি। অপরদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল আজিজের বিরুদ্ধেও রয়েছে অনেক অভিযোগ। তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্যে স্থানীয় জনগণকে একজনের বিরুদ্ধে আরেকজনকে লেলিয়ে দিচ্ছেন। আর এতে করে তিনি ব্যক্তিগত ফায়দা লুটছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শিরোনাম:
সোমবার , ৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২০ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।