সংবাদদাতা=
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার মনতলা বাজারে ১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর ব্যাপক ভাংচুর ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। রামগঞ্জ থেকে হাজীগঞ্জগামী এক ব্যবসায়ীকে ঐ স্থানে নামিয়ে দিয়ে টাকা-পয়সা লুটে নেয়ার ঘটনা পরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়। তবে হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়।
হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এদিন রামগঞ্জ থেকে কোনো এক ব্যবসায়ী মনতলা বাজারে পৌঁছলে অবরোধকারীরা এই ব্যবসায়ীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। পরে ঐ ব্যবসায়ীর টাকা লুটে নেয় একটি চক্র। এ নিয়ে পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বাজারের ব্যবসায়ীদের উপর হামলা করে বিএনপি সমর্থকরা। এতে ঐ এলাকার চালিয়াপাড়া বাজারের বাসু স্টোর, ছাদ্দাম স্টোর, খোকা পাটওয়ারীর দোকান, মাসুদ ভ্যারাইটিজ স্টোর, মিজান স্টোর এবং পার্শ্ববর্তী মনতলা বাজারের সেলিম ট্রেডার্স, রশিদ স্টোর, নাসির স্টোর ও পাটওয়ারী মার্কেট ভাংচুরের শিকার হয়। হামলাকারীদের হামলার শিকার হন রিক্সা চালক তাজুল ইসলাম।
ক্ষতিগ্রস্ত রশিদ স্টোরের মালিক আবদুর রশিদ জানান, হঠাৎ করেই জামায়াত-শিবির কর্মীরা দোকানে ভাংচুর করে এবং ক্যাশ বাক্স লুট করে নিয়ে যায়।
মনতলা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন পাটওয়ারী বলেন, হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কে সন্ধ্যার পর গাড়ি থামিয়ে অবরোধের নামে চাঁদাবাজী ও ছিনতাইকে এলাকাবাসী বাধা দিলে অবরোধকারীরা দোকানপাটে হামলা চালায়।
ঐ এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান আঃ হক জানান, একটি ঘটনাকে শেষ পর্যন্ত দলীয় ঘটনায় নিয়ে এ কাণ্ড হলো, যা আমাদের কারো কাম্য ছিলো না।
হাজীগঞ্জ থানার এসআই নিজাম উদ্দিন জানান, খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি হামলাকারীরা সেখান থেকে সরে গেছে। তবে ১২টি দোকান কম বেশি হামলার শিকার হয়েছে। একজন টেইলার্স দোকানী বলেছে, তার ক্যাশ বাক্স লুট হয়েছে।