প্রবীর চক্রবর্তী
ছোটবেলায় যে ছেলেটির মুখের কথা নিয়ে চিন্তিত ছিল তার বাবা। একটি শব্দ উচ্চারণ করতে যার সময় লাগতো কয়েক সেকেন্ড, সেই ছেলেটি এখন অনর্গল কথা বলতে পারছে। শুধুই কি কথা! ক্ষুরধার যুক্তি, সাবলীল উপস্থাপনা আর মনোমুগ্ধকর বাচনভঙ্গির মাধ্যমে হয়েছে চাঁদপুর জেলার শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক। নিজের যোগ্যতা বলে নিজের দলকে নিয়ে নরসিংদী ক্যাডেট কলেজ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, কক্সবাজার সরকারি কলেজে, ঢাকা গাজীপুর সরকারি কলেজের মত দলগুলোকে হারিয়ে টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। সেই ছেলেটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বড়ালী গ্রামের রাসেল হাসান। তার বাবা মোঃ খলিলুর রহমান একজন সাধারণ ঠিকাদার। মা সাজুদা বেগম একজন গৃহিণী। জানা যায় রাসেলের বাবা রাসেলকে ছোটবেলায় ঘনঘন মধু খাওয়াতো যেন ছেলের তোতলামি ভাব কেটে যায়। পাড়ার বন্ধুরা তাকে তোতলা বলে রাগাতো। আজ সেই ছেলেটি শুধু টেলিভিশন বিতার্কিকই নয় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণেও পেয়েছে জাতীয় পুরস্কার। শুধুমাত্র বিতর্ক চর্চার কারণেই রাসেল বক্তব্যে এমন পারদর্শী হতে পেরেছে। সে কথা অকপটে যেমন স্বীকার করেছেন রাসেলের বাবা তেমনি রাসেলও। ৭ই মার্চের ভাষণে সারা বাংলাদেশে ২য় স্থান অর্জন করার পর একাধিক বক্তব্যে বলেছে, ‘আমি বিতর্ক করতে জানি বলেই এ পুরস্কার আমার ভাগ্যে জুটেছে।’ ৫ম পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কন্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় রাসেলের দল কলেজ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সে হয়েছিল জেলার শ্রেষ্ঠ বক্তা। তাইতো রাসেলের আকুতি: চাঁদপুর কন্ঠের এ আয়োজন যেন থেমে না যায়।
লেখক : সাধারণ সম্পাদক, সিকেডিএফ, ফরিদগঞ্জ উপজেলা শাখা।