প্রতিনিধি
ফরিদগঞ্জে মাদকের বিরুদ্ধে এলাকায় কথা বলায় এবং উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যানকে এই বিষয়ে জানানোয় মাদকসেবীরা উপজেলার ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম পোয়া গ্রামের তিন ব্যক্তিকে কাফনের কাপড় ও চিঠি পাঠিয়ে হুমকি দিয়েছে। শুধু তাই নয়, চিঠিতে ওই তিন ব্যক্তির এক প্রতিবেশীর নাম ও মোবাইল নম্বার চিঠিতে জুড়ে দিয়ে ওই প্রতিবেশীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। এ ব্যাপারে কাফনের কাপড় পাওয়া ওই তিন ব্যক্তি ফজল মাস্টার, আবুল বাশার বেপারী ও গিয়াস উদ্দিন জমাদারের পক্ষে একটি জিডি (নং-৪১৭) এবং চিঠিতে নাম ও মোবাইল নম্বার ব্যবহার করে ফাঁসানোর চেষ্টার জন্য শামিম হোসেন দিপু বুধবার রাতে ফরিদগঞ্জ থানায় আরেকটি জিডি (নং-৪১৮) দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, এলাকায় চুরি-ডাকাতি এবং মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় তা প্রতিরোধে এগিয়ে আসার জন্য ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান রানা সম্প্রতি এলাকার গণ্যমান্যদেরকে অনুরোধ করেন। সেই গণ্যমান্যদের মধ্যে উদ্বুদ্ধকারী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজল মাস্টার (৬০), আবুল বাশার বেপারী (৪৫) ও গিয়াস উদ্দিন জমাদার (৫৫)-এর নামে হত্যার হুমকি দিয়ে গত বুধবার কাফনের কাপড় এবং চিঠি দেয় দুর্বৃত্তরা। চিঠিতে জনৈক রুবেল নিজেকে যম হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদেরকে খেয়ে পরে নিতে বলে। এমনকি এই বিষয়টি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানকে জানানোর জন্য বলে। এ দিকে কাফনের কাপড়ের সাথে চিঠিতে ওই এলাকার শামীম হোসেন দিপুর নাম ও মোবাইল নম্বার দিয়ে দেয়। যাতে এলাকায় নিজেরাই দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে ওই তিন জনের একজন ফজল হক মাস্টার বলেন, তারা মাদকের বিরুদ্ধে এলাকায় উদ্বুদ্ধকরণে এগিয়ে আসায় তাদের কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এছাড়া চিঠিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে শামিম হোসেন দিপুর নাম ও মোবাইল নম্বর দেয়। ফলে তারা পৃথক দুটি জিডি করেছেন বুধবার রাতে।
এ ব্যাপারে জিডি দুটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই ওমর ফারুক জানান, ঘটনার হোতাদের বের করতে অনুসন্ধান চলছে।
অন্যদিকে উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান রানা জানান, দুর্বৃত্তরা এলাকার সুধীজনের মাঝে ভয় ঢোকাতে এই কাজ করেছে।