ফরিদগঞ্জে আবারো শিশু ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এবার উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ ধানুয়া গ্রামে ৯ বছরের এক শিশুকে ধষর্ণের অভিযোগে লিয়াকত উল্যা (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। শিশুটির পিতা বাদী হয়ে ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে মামলা দায়েরের পর শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি গত ৪ আগস্ট ঘটে।
শিশুটির পিতা জানায়, তার মেয়ে উত্তর চাঁদপুর সপ্রাবির ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী । শুক্রবার দুপুরে বাড়ির ছাদ থেকে কাপড় নিয়ে আসার সময় পেয়ারা দেয়ার নাম করে তাকে ফুসলিয়ে ঘরের ভিতরে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে লিয়াকত উল্যা। শিশুটি এ ঘটনা তার মায়ের কাছে জানালেও স্থানীয় একটি মহল মীমাংসার নাম করে কালক্ষেপণ করে। এক পর্যায়ে শিশুটির পিতা উপায়ন্তর না দেখে বাধ্য হয়ে বৃহষ্পতিবার সকালে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। এদিকে ধর্ষণের সংবাদ পেয়ে স্থানীয় লোকজন লিয়াকত উল্যাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। যদিও লিয়াকত উল্যা ও পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনির জানান, মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্তকে আটকের সাথে সাথে শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। এছাড়া পরীক্ষা শেষে আদালতে জবানবন্দি নেয়ার জন্য নিয়ে যাবেন।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি শাহ্ আলম শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের কথা স্বীকার করে বলেন এটি তদন্ত চলছে।